এ কে এম ইকবাল ফারুক, চকরিয়া:

কক্সবাজারের চকরিয়ায় উপজেলা সহকারী ড়মকমিশনারের (ভূমি) নাম ভাঙ্গিয়ে উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ইসলামনগর এলাকায় দীর্ঘ দিনের পুরানো একটি কমিউনিটি সেন্টারের জমি জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে তঁার গাড়ি চালক মহি উদ্দিনের বিরুদ্ধে। তবে স্থানীয় জনতা তার এ জবর দখল চেষ্টাটি ভূন্ডুল করে দেয়। এ ঘটনায় ওই এলাকার স্থাণীয় লোকজনের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

স্থানীয় লোকজন জানায়, ২০০২ সালে ‘আদর্শ গ্রাম প্রকল্পের অধীনে ইসলামনগর এলাকায় ৮০ পরিবারের জন্য ১ একর জমিতে একটি বসতবাড়িও কমিউনিটি সেন্টার নির্মান করা হয়। বর্তমানে ‘আদর্শ গ্রাম প্রকল্পের অধীনে ইসলামনগর এলাকায় দুই হাজারের অধিক পরিবার বসবাস করছেন। এসব পরিবারের বিভিন্ন সামাজিক ও সরকারী বিভিন্ন অনুষ্টান ওই কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্টিত হওয়ার পাশাপাশি ধর্ম মন্ত্রনায়নের অধিনে ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত মসজিদ ভিত্তিক গণশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিতও হয় এই কমিউনিটি সেন্টারে। এছাড়া জাতীয় টিকা দিবসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানও কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়।

এলাকার লোকজন আরো জানায়, বুধবার (২৯ মে) সকাল ৯টার দিকে একদল সন্ত্রাসী নিয়ে এসি ল্যান্ডের গাড়ি চালক মো. মহিউদ্দিন কমিউিনিট সেন্টারের পেছনে খালি জায়গায় শতাধিক ম্যালেরিয়া গাছ কেটে বাড়ি নির্মানের চেষ্টা চালায়। এসময় এলাকার লোকজনের বাধার মুখে তারা পালিয়ে যায়। পরে চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত গিয়ে এলাকাবাসীর বঁাধা উপেক্ষা করে তার গাড়ি চালক মহিউদ্দিনকে বাড়ি নির্মাণে সহযোগীতা করেন। এসময় লোকজনকে বিভিন্ন হুমকিও দেন বলে জানায় এলাকার লোকজন।

ইসলামনগর এলাকার বাসিন্দা মো. ইলিয়াছ, আকতার হোসেন, হাবিব উল্লাহ, রায়হান , আবু তাহের, আবদুল আলিম অভিযোগ করে বলেন, ২০০২ সালে ইসলামনগর এলাকায় সরকারীভাবে একটি কমিউনিটি সেন্টার নির্মিত হয়। ওই সময় তৎকালীন যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী এটি উদ্ভোধন করেন। সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন প্রোগ্রাম ও এলাকার সামাজিক অনুষ্টান এই কমিউনিটি সেন্টারে সম্পন্ন হয়। সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাহেদুল ইসলাম ওই কমিউিনিটি সেন্টারের খালি জায়গায় বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারাও রোপন করেন। কিন্তু বর্তমান চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) গাড়ি চালক মহিউদ্দিন এসিল্যান্ডের প্রভাব খাটিয়ে কমিউনিটি সেন্টারের জায়গা দখলের চেষ্টা চালায়।

কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য আবু ইউসুফ মো. ইয়াহিয়া বলেন, এটি একটি সরকারীভাবে নির্মিত প্রতিষ্টান। এই কমিউনিটি সেন্টারে ১ একর জমি রয়েছে। এই কমিউনিটি সেন্টারটি এলাকার জনগণের কল্যাণে ব্যবহৃত হয়। এখানে অবৈধভাবে জমি দখল করে বাড়ি নির্মাণের বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আশাকরি প্রশাসন এলাকাবাসীর স্বার্থে বিষয়টি আমলে নেবেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চকরিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত বলেন, আমার নাম ভাঙ্গিয়ে আমার গাড়ির ড্রাইভারে জমি জবর দখলের বিষয়টি সঠিক নয়। মুলত: জায়গাটি ১ নম্বর খাস খতিয়ানের জায়গা। আমার ড্রাইভারের ভুমিহীন এক আত্নীয় জমি বন্দোবস্তির জন্য আবেদন করেছিল। সেজন্য আমরা জমিটি পরিমাপ করতে গিয়েছিলাম। তিনি আরও বলেন, ওই এলাকার বাসিন্দারা অন্যায়ভাবে সরকারী জায়গায় পাকা দালান নির্মান শুরু করেছে। বিষয়টিও আমরা দেখছি। অচিরেই এসব অবৈধ পাকা দালান ভেঙ্গে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।