শাহেদ মিজান, সিবিএন:
বহু বছর ধরে বেশভাবে আলোচিত কক্সবাজারের বাঁকখালী নদী দখল-দুষণের উপর এবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নজর পড়েছে। বিষয়টিকে অত্যন্ত ‘গুরুত্ব’ দিয়ে নদীটি রক্ষায় উদ্যোগ নিচ্ছে দুদক। এর অংশ হিসেবে বুধবার (২৯ মার্চ) দুদকের চট্টগ্রাম অঞ্চলের একটি দল বাঁকখালী নদী পরিদর্শন করেছেন। দুদকের চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহকারী পরিচালক রতন কুমারের নেতৃত্বে আসা ৫ সদস্যদের দলটি দুপুর ১২টায় নদীর কস্তরাঘাট পয়েন্ট দিয়ে নেমে পেশকারপাড়াসহ আরো কিছু এলাকা পর্যবেক্ষণ করেছেন। তারা বেলা তিনটা পর্যন্ত সেখানে ছিলেন।

দুদক চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহকারী পরিচালক রতন কুমার জানান, বাঁকখালী নদীর দখল ও দূষণ নিয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো দুদকের নজরে আসে। প্রতিবেদনগুলোর আলোকে দুদক এই নদীর অপতিরোধ্য দখল ও দূষণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগ গ্রহণ করে। এর প্রথম কার্যক্রম হিসেবে নদীটি পরিদর্শন করতে এসেছেন দুদক দল।

দুপুর ১২টার দিকে দুদকের এই দলটি কস্তুরাঘাট দিয়ে বাঁকখালী নদীতে যান। দলের সদস্যরা কস্তুরাঘাট থেকে পেশকার পাড়া পর্যন্ত সরেজমিন পরিদর্শন করেন। এসময় ভূমিদস্যু কর্তৃক নদীর বিস্তীর্ণ অংশ দখল, বর্জ্য ফেলে দূষণসহ নানা অসঙ্গতি পর্যবেক্ষণ করেন। দূষণের জন্য তারা পৌরসভার বর্জ্য ফেলাকে বেশি গুরুত্বের সাথে পর্যক্ষণ করেছেন।

পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ শেষে দুদক সহকারী পরিচালক রতন কুমার সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাঁকখালী নদী দখল ও দূষণের সত্যতা পেয়েছি। যেভাবে নদীটি দখল ও দূর্ষণ করা হয়েছে তা অত্যন্ত গর্হিত এবং আইন বিরোধী। দখলবাজরা একটি নদীকে এভাবে কুক্ষিগত করতে পারে তা অবিশ^াস্য ঠেকেছে। তার সাথে ভয়ংকর হচ্ছে নদীর দূষণযজ্ঞ। অনিয়ন্ত্রিতভাবে বর্জ্য ফেলাসহ নানাভাবে নদীকে দূষণ করে ফেলা হয়েছে। বিশেষ করে পৌরসভার বর্জ্য ফেলার বিষয়টি অত্যন্ত মারাত্মক ঠেকেছে। তা দেখে আমরা আঁৎকে উঠেছি।’

এই নদীর দখল ও দূষণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা প্রসঙ্গে রতন কুমার বলেন, ‘বাঁকখালী নদী দখল ও দূষণ রোধে দুদক ইতিমধ্যে সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে। তার অংশ হিসেবে পরিদর্শনে আসা। পরিদর্শন করে যে চিত্র আমরা পেয়েছি তা প্রতিবেদন আকারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক অতি শিগগিরই নদীটির দখল ও দূষণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে দুদক।’