এম.মনছুর আলম, চকরিয়া:
চকরিয়ায় বসতভিটার সীমানা বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা চালিয়ে বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটতরাজ করেছে। ওইসময় বাঁধা দিতে গেলে আক্রান্ত পরিবারটির গৃহকর্ত্রী রহিমা খাতুন (৬০) ও তাঁর নাতি মোহাম্মদ কালু মিয়া (১৬) সহ দুইজনকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। গুরুতর আহত দুইজনকে চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে ও ইফতার আগে দুইদফা হামলার ঘটনা ঘটেছে উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডের পুরুত্যাখালীস্থ বাজারপাড়া গ্রামের ছৈয়দ আহমদের বসতঘরে। আহত রহিমা খাতুন ছৈয়দ আহমদের স্ত্রী।

অভিযোগে আক্রান্ত পরিবারের লোকজন জানান, কোনাখালী ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডের পুরুত্যাখালীস্থ বাজারপাড়া গ্রামের ছৈয়দ আহমদের পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশি আহমদ মিয়ার পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বাড়িভিটার সীমানা বিরোধ রয়েছে। আহমদ মিয়ার ছেলে আবদুল মজিদ জোর করে ছৈয়দ আহমদের অংশের বাড়িভিটার জায়গা দখল নিতে চেষ্ঠা করে আসছেন। সর্বশেষ সোমবার দুপুরে এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে ঝগড়া বিবাদের সুত্রপাত ঘটে। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে দুইপক্ষকে সংঘাত থেকে বিরত থাকতে বারণ করেন। একপর্যায়ে দুপক্ষ শান্ত হন।

স্থানীয় লোকজন জানায়, দুপুরের সংঘাতের জের ধরে একইদিন ইফতারের আগে আহমদ মিয়ার ছেলে আবদুল মজিদ ও তাঁর স্ত্রী হোসনে আরা আবারও ছৈয়দ আহমদের পরিবারকে উদ্দেশ্যে করে গালিগালাজ করে। এসময় দুই পরিবারের মধ্যে আবারও কথা কাটাকাটি ঘটে। একপর্যায়ে আহমদ মিয়ার ছেলে আবদুল মজিদ ও তাঁর স্ত্রী হোসনে আরাসহ তাদের লোকজন মিলে ছৈয়দ আহমদের বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায়। ওইসময় তাদেরকে বাঁধা দিতে গেলে আক্রান্ত পরিবারটির গৃহকর্ত্রী রহিমা খাতুন ও তাঁর নাতি মোহাম্মদ কালু মিয়াসহ দুইজনকে পিটিয়ে জখম করা হয়।

সীমানা বিরোধের জেরে বাড়িতে হামলা ও নানী-নাতিকে পিটিয়ে জখমের ঘটনায় চকরিয়া থানায় মামলা দায়ের করতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন আক্রান্ত ছৈয়দ আহমদের পরিবারের লোকজন।