শাহেদ মিজান, সিবিএন:
রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্যপণ্য সরবরাহে নিয়োজিত সৌদি ভিত্তিক সাহায্য সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক রিলিফ অর্গনাইজেশনের (আইআইআরও) নিম্নমানের খাদ্যপণ্য জব্দের ঘটনায় সংস্থাটির লোকজন জড়িত নেই বলেন দাবি করেছেন সংস্থাটির শীর্ষ পর্যায়। নিম্নমানের খাদ্যপণ্যের সরবাহের জন্য তারা ঠিকাদারকে দায়ী করেছেন। এই জালিয়াতির জন্য সংস্থাটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘মা-বাবার দোয়া এন্টারপ্রাইজ’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। ২৭ মে আইআইআরও’র বাংলাদেশ অফিস প্রধান গাজী মান্তুও হামিদ আল-ওসাইমী স্বাক্ষরিত পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নিম্নমানের খাদ্যপণ্য সরবরাহের সাথে আইআইআরও’র কোনো কর্মকর্তা বা সংস্থাটি জড়িত নয়। ওইসব খাদ্যপণ্য সরবরাহের জন্য ঠিকাদার ‘মা-বাবার দোয়া এন্টারপ্রাইজ’ স্বত্ত্বাধিকারী মোহাম্মদ রবিউল ইসলামই একমাত্র দায়ী। কারণ সম্পূর্ণ তার তত্বাবধানে খাদ্যপণ্যগুলো সরবরাহ করা হচ্ছিল। কিন্তু সংবাদ মাধ্যমে এই তথ্য আসেনি। সংস্থার লোকজনকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। তা অনভিপ্রেত।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, সৌদি ভিত্তিক সাহায্য সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক রিলিফ অর্গনাইজেশন (আইআইআরও) এনজিও ব্যুরো ও সরকারের সংশ্লিষ্ট অফিসের সাথে সমন্বয় ও অনুমতি সাপেক্ষে মানবতার কল্যাণে কাজ করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় রোহিঙ্গাদের জন্যও খাদ্যপণ্য সরবরাহের জন্য এনজিও ব্যুরো থেকে অনুমতি নেয়া হয়। এই খাদ্যপণ্য সরবরাহের দায়িত্ব পায় ‘মা-বাবার দোয়া এন্টারপ্রাইজ’ নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। উক্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যে খাদ্যপণ্য সরবরাহ করছিল চুক্তির সাথে তার কোনো ধরণের সামঞ্জস্য ছিলো না। এই অনিয়মের কারণে খাদ্যপণ্য জব্দ করেছেন প্রশাসন। এই জন্য আমরা প্রশাসনকে সাধুবাদ জানাই। অন্যদিকে চুক্তি লঙ্ঘন করে নিম্নমানের খাদ্যপণ্য সরবরাহ করায় আমরা আইন মতে ‘মা-বাবার দোয়া এন্টারপ্রাইজ’র বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবো এবং তাদের সাথে চুক্তি ইতিমধ্যে বাতিল করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আমাদের কোনো কার্যক্রমে ওই ঠিকাদারী সংস্থাকে অংশ গ্রহণ করা থেকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, শনিবার (২৫ মে) সরবরাহের জন্য আনা এক ট্রাক ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক রিলিফ অর্গনাইজেশন (আইআইআরও) নিম্নমানের খাদ্যপণ্য জব্দ করে জেলা প্রশাসন। একই সাথে আরো দুট্রাক পণ্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।