কামাল শিশির, রামু:
রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নে বন বিভাগের জমি দখলে নিয়ে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি করে তৈরি করা হচ্ছে বিলাসবহুল অবৈধ দালান ঘর। এর দেখাদেখি স্থানীয় অনেকে বনভূমি দখলের প্রস্তুতি নিচ্ছে। উজাড় করছে বনের গাছপালা ফলে ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র। পরিবেশের এই বিপন্নতা নিয়ে বন বিভাগ একেবারেই উদাসীন।
জানা যায়, কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বাঁকখালী রেঞ্জের আওয়তাধীন কচ্ছপিয়ার হাইস্কুল পাড়া পার্শ্ববর্তী এলাকায় নাইত পাড়া বনভূমির দখলকৃত বিশাল জায়গায় স্থানীয় প্রভাবশালী মালিকানাধীন ছয়কক্ষ বিশিষ্ট দালান ঘর নির্মাণের কাজ চলছে।
জানতে চাইলে দালান ঘর নির্মাণ কাজের শ্রমিক মমতাজ বলেন, স্থানীয় প্রবাসী মনহরি নাথ এই দালান ঘর নির্মাণ করছেন। গত এক মাস ধরে বাড়ি নির্মাণের কাজ চলছে। এর পেছনে গ্রামের কতিপয় প্রভাবশালীদেরও সহযোগিতা এবং তারা নিজেও বন উজাড় করে অবৈধ ঘরবাড়ি নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
বনভূমির জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ কেমনে সম্ভব বা এটি পরিবেশ আইনের প্রতিকূল সিদ্ধান্ত, কার বা কাদের ইন্দনে এমন স্থাপনা নির্মাণ হচ্ছে; এমন প্রশ্নের জবাবে নির্মাণ শ্রমিকরা জানান, আমরা এতো কিছু বু্ঝনিা, কাজের বিনিময়ে টাকা উপার্জন করে আমরা সংসার চালায় তবে যতটুকু জানি স্থানীয় মিয়ার (বনবিট কর্মকর্তা) সঙ্গে কথা বলেই ঘরটি তৈরী করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মৌলভিকাটা বনবিট কর্মকর্তা শেখ মিজানুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, বনভূমির বিষয়ে কোন আপোষ নেই। এই ঘর অতি শিগগিরই উচ্ছেদ করা হবে এবং উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বাকখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা আতা এলাহী বলেন, রামুতে বনভূমিতে তৈরী করা দালান ঘর উচ্ছেদে ইতোমধ্যে অভিযান শুরু হয়েছে। গত দুই মাস আগে কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গা” বনভূমির নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান করা হয়। বাকি ঘরগুলোও পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হবে।