ডেস্ক নিউজ:
আরব সাগরে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী আব্রাহাম লিঙ্কন থেকে উড়াল দিচ্ছে একটি জঙ্গিবিমান। ছবি: রয়টার্স
স্টার অনলাইন রিপোর্ট
ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্যান্য ‘গোপন অস্ত্র’ দিয়ে উপসাগরীয় অঞ্চলে উপস্থিত মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ইরান ডুবিয়ে দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের একজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা।

ইরানের আধা সরকারি বার্তা সংস্থা মিজানের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স গতকাল (২৫ মে) এ কথা জানায়।

ইরানের সেনা কমান্ডের উপদেষ্টা জেনারেল মোর্তোজা কোরবানি বলেন, “এই অঞ্চলে আমেরিকা দুটি যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে। যদি তারা সামান্যতম নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দেয় তাহলে আমরা সেই জাহাজগুলোকে তাদের সৈন্য, যুদ্ধবিমানসহ পানির নিচে পাঠিয়ে দিবো।”

“এ জন্যে আমাদের খরচ করতে হবে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র অথবা দুটি নতুন গোপন অন্ত্র,” যোগ করেন সেই শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা।

গত ২৪ মে মধ্যপ্রাচ্যে দেড় হাজার সৈন্য পাঠানোর ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে অভিযোগ করেছে যে চলতি মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপকূলে সৌদি ট্যাঙ্কারে হামলার জন্যে ইরানের বিপ্লব প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইআরজিসি) সরাসরি দায়ী।

যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে ইরান হামলার করতে পারে এমন আশঙ্কার প্রেক্ষাপটে ট্রাম্প প্রশাসন মধ্যপ্রাচ্যে বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা পাঠানোর পর নতুন করে সেনা সদস্য পাঠানোর ঘোষণা দেয়।

পশ্চিমের সমরবিশারদদের মন্তব্য- ইরান প্রায়শই তার সামরিক শক্তি সম্পর্কে অতিরঞ্জিত তথ্য দিয়ে শত্রুপক্ষকে বাড়তি চাপে রাখার চেষ্টা করে। তবে এ কথা ঠিক যে দেশটির ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বিশেষ করে দূরপাল্লার ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ রয়েছে।

ইরানের অপর আধা সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিমের বরাত দিয়ে দেশটির অন্যতম প্রভাবশালী দৈনিক তেহরান টাইমস জানায়, কয়েক সপ্তাহ আগে নিউইয়র্কে সফরকালে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ মার্কিন সিনেটর দিয়ানে ফিনস্টেইনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

গত ২৩ মে জনপ্রিয় রাজনৈতিক ম্যাগাজিন ‘পলিটিকো’ মার্কিন সিনেটরের সঙ্গে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাতের খবর প্রকাশ করলে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল তা স্বীকার করে নেয়।

ম্যাগাজিনটি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটিতে থাকা ক্যালিফোর্নিয়া থেকে নির্বাচিত ডেমোক্রেট সিনেটর দিয়ানে ফিনস্টেইন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর জন্যে নৈশভোজের ব্যবস্থা করেছিলেন।

সিনেটরের কার্যালয় সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায় যে “মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করেই” দিয়ানে এবং জারিফের বৈঠকটির আয়োজন করা হয়েছিলো।

এদিকে, ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্বাস মুসাভি বার্তা সংস্থা তাসনিমকে বলেন, “তারা (যুক্তরাষ্ট্রের) কোনো প্রশাসনিক কর্মকর্তা ছিলেন না। ইরানের সঙ্গে তাদেরকে দেন দরবারের ক্ষমতাও দেওয়া হয়নি। এমনকি, ইরানের কর্মকর্তারাও তাদের সঙ্গে কোনো দেনদরবারে বসেননি। তাদের সঙ্গে দেনদরবার করার কোনো ইচ্ছা নেই।”