রেবেকা সুলতানা আইরিন:
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও বীমা উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক ড. শেখ মুহাম্মদ রেজাউল ইসলাম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শুধু দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন না, তিনি প্রতিনিয়ত দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিয়েও ভাবছেন। তাই তাঁর নেতৃত্বেই অচিরেই বাংলাদেশ মাদকমুক্ত হবে ইন্শাআল্লাহ। এজন্যই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে মাদকমুক্ত করতে হলে সকলকে সজাগ থাকতে হবে।
শুক্রবার (২৫ মে) জাতীয় দৈনিক আমার কাগজ, দি গুড মর্নিং, জাতীয় ম্যাগাজিন জনতার কণ্ঠ ও জাতির আলো’র যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত “সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত পর্যটন রাজধানী কক্সবাজার বিনির্মানে আমাদের করণী শীর্ষক সেমিনার ও ইফতারে মেজবান” অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
ড. রেজাউল ইসলাম আরো বলেন, সরকার ও প্রশাসনের একার পক্ষে সমাজকে মাদকমুক্ত করা কখনোই সম্ভব না। তাই ভয়ঙ্কর এই মরণ নেশার ছোবল থেকে দেশ ও জাতিকে বাঁচাতে ঘরে ঘরে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। নির্মূল করতে হবে দুর্নীতি। এ কারণে প্রয়োজনে হলে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
কক্সবাজার শহরে লালদীঘির পূর্ব পাড়স্থ এবি সুপার মার্কেটের ৪র্থ তলায় ব্যুরো কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় দৈনিক আমার কাগজ, দি গুড মর্নিং পত্রিকার সহ-সম্পাদক, জাতীয় ম্যাগাজিন জনতার কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক ও জাতির আলো’র উপদেষ্টা সম্পাদক মো: আকতার হোছাইন কুতুবীর সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব আমার কাগজ এর সম্পাদক ফজলুল হক ভুইয়া রানা। এসময় সম্পাদক রানা বলেন, সমাজে রন্ধ্রে রন্ধ্রে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ঢুকে গেছে। মাঠপর্যায়ে অনেক ডিসি, এসপি এবং দায়িত্বশীলদের মধ্যে সমন্বয় না থাকায় প্রধানমন্ত্রী ঐকান্তিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও দেশ থেকে একেবারে মাদক নির্মূল করা যাচ্ছে না। আসুন, আমরা সবাই মিলে দেশ থেকে মাদকের মতো বিষাক্ত এই ছোবল থেকে সমাজকে রক্ষা করি। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন, ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন। বিশেষ আলোক ছিলেন, ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুুলিশ সুপার ফখরুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষি অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ড. শাহরিয়ার ও কক্সবাজার হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক কৃপাংশু শেখর বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আতাহার ইকবাল, বিশিষ্ট সাবেক জাতীয় ফুটবলার সুরত আলম, কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র আইনজীবী এড. একেএম আতাউল হক। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র সাংবাদিক কামাল হোসেন আজাদ, দ্বীপাঞ্চল পত্রিকার সম্পাদক আকবর খান, কক্সবাজার বাণীর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ফরিদুল মোস্তফা খান, বিশিষ্ট গল্পকার ও কবি এডভোকেট এম.এ. মালেক।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রাইম লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রধান মোহাম্মদ সলিম উল্লাহ ও কক্সবাজার প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের প্রধান মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় ম্যাগাজিন জাতির আলো’র কক্সবাজার ব্যুরো অফিস ইনচার্জ রেবেকা সুলতানা আইরিন ও জনতার কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি লায়ন জিয়াউল করিম। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জনতার কণ্ঠের শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিবেদক রাশেদুল আলম, দরিয়া নগর সমিতির সভাপতি নুরুল আবছার, বিশিষ্ট ছাত্রনেতা মাহাছুমুল ইসলাম রাসেল, ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক বাবুল, আব্দুল হক সওদাগর, জাবেদ উল্লাহ মিয়া, ব্যুরো অফিসের প্রধান কম্পিউটার অপারেটর চিংসাউ মারমা, ১২নং ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আল মর্জিনা, সাধারণ সম্পাদক সালেহা আক্তার আঁখি ও শফিকা বেগম প্রমুখ।