সিবিএন ডেস্ক 

ভারতে জাতীয় নির্বাচন শেষ হওয়ার পর নয়াদিল্লি থেকে উচ্চ পর্যায়ের একটি সফর আশা করছে ঢাকা। নির্বাচনি ফলাফলে এনডিএ জোট ফের সরকার গঠন এবং জোটটির নেতা নরেন্দ্র মোদি দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। সরকারের একজন কর্মকর্তা বলেন, ’গত এপ্রিলে দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে উচ্চ পর্যায়ের সফরের বিষয়টি আলোচিত হয়।’
পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক এবং ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিজয় গোখলে গত ১৬ এপ্রিল নয়াদিল্লিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক মধ্যাহ্ন ভোজের বৈঠকে মিলিত হন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালে নির্বাচিত হওয়ার এক বছর পর তিনি ঢাকা সফর করেন। ফিরতি সফর হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালে নয়াদিল্লি সফর করেন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘এখন দিল্লি থেকে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা আসার কথা। ভারতের একটি বড় প্রতিবেশী নীতি আছে যেখানে বাংলাদেশের অবস্থান কৌশলগত কারণে গুরুত্বপূর্ণ এবং উষ্ণ সম্পর্কের কারণে দুই দেশ অনেক কিছু অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।’ ২০১৪ সালে ভারতে এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের প্রথম একক সফর ছিল বাংলাদেশ- উল্লেখ করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ’ভারতের সঙ্গে আমাদের বোঝাপড়া কৌশলগত সম্পর্কের থেকেও বেশি এবং আমরা এই অবস্থা বজায় রাখতে চাই।’ উচ্চ পর্যায়ের সফর প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ’দেখা যাক। সময় হলেই জানতে পারবেন।’

মোদিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নরেন্দ্র মোদিকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন। এরপরে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে টেলিফোনে কথাও হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) পাঠানো এক শুভেচ্ছা বার্তায় শেখ হাসিনা মোদিকে সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানান।
অভিনন্দন বার্তায় নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লিখেছেন, ‘আপনার অসাধারণ নেতৃত্বে ভারতের ১৭তম লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের জয়ে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ এবং আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। এই জয় আপনার প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশের জনগণের বিশ্বাস ও আস্থার প্রতিফলন।’

যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক
আরেকজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দুই দেশের মধ্যে যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক অনেক দিন ধরে হয়নি এবং আমরা আশা করছি এটি খুব শিগগিরই হবে। তিনি বলেন, ‘শেষ নদী কমিশনের বৈঠক ২০১০ সালে হয়েছিল এবং এরপর তিস্তা এবং অন্যান্য নদীর পানি নিয়ে জটিলতা থাকায় বৈঠক হয়নি।’ গত এপ্রিলে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে নদী কমিশনের বৈঠকের বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা হলে দিল্লি রাজি হয় বলে তিনি জানান।