চকরিয়া সংবাদদাতা:
উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ছড়া খাল থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে বালু। এসব অবৈধ বালু পরিবহনের সুবিধার্থে বনভূমি কেটে সড়ক নির্মাণ করছে জড়িতরা। বন বিভাগের অভিযানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে সংশ্লিষ্ট বালু দস্যুরা। চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ধইল্যার ঝিরি নামক এলাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার ঘটেছে এ ঘটনা। বিষয়টি নিয়ে বন বিভাগের ভুমিকা জনসাধারণের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
জানা গেছে, উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে খুটাখালী ৩নং বালু পয়েন্ট থেকে প্রতিদিন পাঁচ শতাধিক ডাম্পার বালু পাচার হচ্ছে। উত্তোলন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে কয়েক ডজন অবৈধ ড্রেজার মেশিন। এখানে জড়িত রয়েছে দুই ওজনাধিক স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি। তৎমধ্যে রয়েছে চকরিয়া ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ঝনঝইন্যা ব্রিজ এলাকা ৭নং ওয়ার্ডের আবু বকর ড্রাইভার, খুটাখালী সেগুন বাগিছার নুরুল আলমের ছেলে মোঃ ফারুক, নতুন পাড়ার আবদুস সুবাহানের ছেলে বেলাল উদ্দিন, জয়নগর পাড়ার বশির আহমদের ছেলে মোহাম্মদ আলী লিটন, লম্বাথলি দরগাহ পাড়ার গুরা মিয়ার ছেলে আরমান, একই এলাকার লাল মিয়ার ছেলে বাবুল, মেধা কচ্ছপিয়া (২নং ওয়ার্ড) মৌলভি বশিরের ছেলে আবদুল্লাহসহ আরো অনেকে। তারা উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অব্যাহত রেখেছে পরিবেশ বিধ্বস্ত এ কর্মকাণ্ড।
অপরদিকে সরকার হারাচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব। বালুর ডাম্পার চলাচল সুবিধার্থে খুটাখালী ধইল্যার ঝিরি নামক এলাকায় বন ভুমি কেটে নতুন রাস্তা তৈরি করছে বালু খেকোরা। এ খবর পেয়ে পরদিন ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা ছৈয়দ আবু জাকারিয়ার নির্দেশে ফোর্স সহকারে অভিযান চালায় বিট কর্মকর্তা আকরাম হোসেন। অভিযানে নির্মিত রাস্তাটি মাঝ পথে কেটে দিয়ে ডাম্পার চলাচল অযোগ্য করে দেয়।
এর দুদিন পর (২৩ মে) বৃহস্পতিবার সড়কের মাটিগুলো ভরাট করে ফের ডাম্পার চলাচল স্বাভাবিক করে বালু দস্যুরা। উল্লেখ্য উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে খুটাখালী ৩নং পয়েন্ট থেকে বালু উত্তোলনে কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। রহস্যজনক কারণে এসব অবৈধ বালু উত্তোলন স্থায়ী বন্ধের পদক্ষেপ নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
এ ব্যপারে ফুলছড়ি বিট কর্মকর্তা আকরাম হোসেন জানায়, বনভূমি কেটে বালু দস্যুরা রাস্তা তৈরি করছে এখবর পাওয়ার পরপরই অভিযান চালানো হয়। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় সড়কটির আড়াআড়ি কেটে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে রেঞ্জ কর্মকর্তা ছৈয়দ আবু জাকারিয়া জানায়, অপরাধী যেই হোক কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। বন বিভাগের জায়গা থেকে এসব অবৈধ ড্রেজার মেশিন উচ্ছেদ করে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। অতিসত্বর তা কার্যকর করা হবে। এসময় জড়িত সকলের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।