বার্তা পরিবেশক:
তিন দফা তারিখ পেছানোর পর আগামী ১৩ জুন কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন ধার্য্য করেছে নির্বাচন কমিশন। গত ২২ মে নির্বাচন কশিন এদিন ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ভোট গ্রহণের দিন ঘোষণা করেন। এর আগে নির্বাচন কমিশন এড. ফরিদুল ইসলামকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়েছে। তবে চেয়ারম্যান পদের আরেক প্রতিদ্বন্দ্বি আজিজুল হক সাগর অভিযোগ করেছেন, হাইকোর্টের বহাল থাকা রুল নিষ্পত্তি না হওয়ার আগেই এড. ফরিদুল ইসলামকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তার আইনগত বৈধতা নেই।

সাগর বলেন, আমার প্রার্থিতা বাতিল হয়নি, স্থগিত রয়েছে। এই সংক্রান্ত হাইকোর্টের ৬নং বেঞ্চে একটি রুল শুনানীর অপেক্ষায় রয়েছে। ওই রুলের পূর্ণ নিষ্পত্তি না হওয়ার আগেই এড. ফরিদুল ইসলামকে চেয়ারম্যান হিসেবে গেজেটভুক্ত করার আইনগত বৈধতা নেই।

কাগজপতের বরাত দিয়ে আজিজুল হক সাগর দাবি করেন, তিনি কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। কিন্তু ভোটারদের স্বাক্ষর সংক্রান্ত জটিলতার কারণে মনোনয়নপত্র বাতিল করেন যাচাই-বাছাই কমিটি। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে আপিল করেও মনোনয়নের বৈধতা পাননি তিনি। ফলে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী থেকে যান আওয়ামী লীগের এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী। তবে মনোনয়নের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ১০ মার্চ হাইকোর্টে আপিল করেন সাগর যার নং ২৮৮৯/২০১৯। পরে ১১ মার্চ বিচারপতি শেখ হাছান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য তালিকায় আসে। এতে শুনানি শেষে আপিলকারী স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজুল হক সাগরের দাখিল করা মনোনয়নটি বৈধ ঘোণা করা হয়। প্রার্থীতা ফিরে প্রচারণায় নামেন সাগর। কিন্তু এড. ফরিদুল ইসলাম ২১ মার্চ ভোট স্থগিত চেয়ে রীট করেন। এতে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ভোট স্থগিত করেন এবং তা নিষ্পত্তির জন্য ফুল বেঞ্চে পাঠান। একই সাথে কিন্তু সাগরের প্রার্থীতা বাতিলের জন্য রিট করেন এড. ফরিদুল ইসলাম। ফরিদুল ইসলামের রীটে আজিজুল হক সাগরের প্রার্থীতা বাতিল না করে স্থগিত করা হয়। বিষয়টি পূর্ণ নিষ্পত্তির জন্য ফুল বেঞ্চ রুল জারি করে তা নিষ্পতির জন্য ৬নং বেঞ্চকে নির্দেশ দেন। এখন পর্যন্ত রুলটির নিস্পত্তি হয়নি। সে কারণে আজিজুল হক সাগরের প্রার্থীতা স্থগিত রয়েছে।

আজিজুল হক সাগর অভিযোগ করেন, তার প্রার্থীতা স্থগিত থাকলে এড. ফরিুদুল ইসলামকে চেয়ারম্যান ঘোষণার বৈধতা নেই। পূর্ণ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন ঘোষিত এড. ফরিদুল ইসলামের গেজেট করা বা এই সংক্রান্ত প্রক্রিয়া চালানো সম্পূর্ণ অবৈধ এবং আদালত অবমাননার সামিল। কিন্তু বর্তমানে তড়িতড়ি করে এড. ফরিদুল ইসলামকে গেজেট করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে; এখনো হচ্ছে। তা আমি আইনীভাবে লড়ে যাচ্ছি। শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবো। এ ব্যাপারে আমি নির্বাচন কমিশনের জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।