জে.জাহেদ, চট্টগ্রাম:
চট্টগ্রামের মইজ্জ্যারটেক রাস্তার পাশে পড়ে থাকা এক বৃদ্ধকে কুড়িয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠিয়ে ভর্তি করালেন কর্ণফুলী থানার এসআই ফজলে রাব্বি কায়সার।
গতরাত সাড়ে ১০টার দিকে কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জ্যারটেকের অদূরে আবাসিক সড়কের পাশ থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. জহির জানান, মইজ্জ্যারটেক হতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা এক বৃদ্ধকে চমেক হাসপাতালের ১৪নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, লোকটি অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছে। বৃদ্ধের নাম নুরুল হুদা (৫৫)। বাড়ি নোয়াখালী জেলার শরীফপুর ইউনিয়নের হাজীপুর মিস্ত্রি বাড়ির গ্রামের মৃত মুরাদ মিয়া ছেলে তিনি।
স্থানীয়রা জানায়, লোকটিকে অচেতন অবস্থায় কর্ণফুলী থানা পুলিশ উদ্ধার করেছে। এসআই ফজলে রাব্বি কায়সার লোকটির করুণ অবস্থা দেখে নতুন লুঙ্গি, শার্ট ও গামছা কিনে পরিয়ে দেন এবং চুল ছাটাই করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে দ্রুত কন্সটেবল মামুনকে দিয়ে চমেক হাসপাতালে প্রেরন করার ব্যবস্থা করেন ।
তবে কোথা থেকে বৃদ্ধ কোথায় যাচ্ছেন তার কিছুই জানা যায়নি। পুলিশের কাছে সে মৃদু স্বরে চোখ বন্ধ অবস্থায় জানায়, তাঁর কাছে মোবাইল আর ব্যাগ ছিল। যদিও তার কাছে তা পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়া তা খোয়া গেছে।
ওই সময় বৃদ্ধ নুরল হুদা নিজেই তার নাম ঠিকানা জানিয়ে বলেন, তার বোনের নাম জোসনা খাতুন। যিনি নগরীর লালদিঘী আমানত শাহা মাজার এলাকায় থাকেন। এমনকি তার পত্মী রোশন আক্তার নোয়াখালীর চৌমুহনী শিশু হাসপাতালে চাকরি করেন বলে জানান।
এ প্রসঙ্গে সিএমপি কর্ণফুলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফজলে রাব্বি কায়সার বলেন, ‘থানা হতে মোবাইল ডিউটি করতে মইজ্জ্যারটেক আসার পথে রাস্তার পাশের্ব মাথা নিচু করে পড়ে থাকা অবস্থায় বৃদ্ধ নুরুল হুদা (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে (অচেতন অবস্থায়) দেখতে পাই। পরে দ্রুত গাড়ি থামিয়ে বৃদ্ধকে টেনে তুলি এবং যত্ন করে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করি।’
তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত স্বজনেরা কেহ যোগাযোগ না করলেও পুলিশের পক্ষ থেকে তার গ্রামের বাড়িতে খোঁজ খবর দেওয়া হচ্ছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকতার্।