চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:

সিএমপি’র পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়াসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন মো. মিজানুর রহমান নামের এক ব্যবসায়ী।

মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, টাকা ছিনিয়ে নেয়া এবং মৃত্যুর হুমকিসহ নানা অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বুধবার (২২ মে) চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশের গোয়েন্দা শাখাকে (ডিবি) তদন্তের নির্দেশ দেন।

মামলার অন্যান্য আসামী হলেন; পার্টিকেল পয়েন্ট নামের একটি ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. ইয়াছিনের পুত্র মো. রোকন উদ্দিন ও নুরুল ইসলামের পুত্র ইয়াছিন আরাফাত এবং পার্টিকেল পয়েন্ট সংশ্লিষ্ট রোকন, সোহেল, ছিদ্দিকুর রহমানের ভূঁইয়ার পুত্র ফুয়াদ ও হাসান।

মামলার বাদী নগরীর হালিশহর বি-ব্লক এলাকার আব্দুল মান্নানের পুত্র মো. মিজানুর রহমানের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এডভোকেট হাসান মাহমুদ চৌধুরী।

মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়, মিজানুর রহমান পার্টিকেল পয়েন্ট থেকে বিভিন্ন ঠিকাদারী মালামাল নগদে ক্রয় করেন। মানহীন মালামাল সরবরাহ করায় এক বছর আগে মালামাল ক্রয় বন্ধ করে দেন। যে কারনে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে বাদীকে হুমকি ধমকি প্রদান করেন। গত ২৫ এপ্রিল জিইসি মোড় এবি ব্যাংকের সামনে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মিজানুর রহমানের কাছ থেকে আসামীরা ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। অস্ত্র ঠেকিয়ে বিকাশের মাধ্যমেও বিভিন্ন অঙ্কের টাকা আদায় করেন। জোরপূর্বক আদায় করে নেন ৫০ হাজার টাকার একটি চেক। এভাবে মোট ১ লাখ ২৯ হাজার টাকা আদায় করে নেয়া হয়। এ ব্যাপারে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করতে গেলে ১৪ মে উভয় পক্ষকে মিমাংসার জন্য থানায় ডাকা হয়। ওই দিন অন্যান্য আসামীদের পক্ষ নিয়ে ওসি বাদীকে কিল, ঘুষি মেরে মৃত্যুর হুমকি এবং ইয়াবার মামলাসহ নানা ধরনের ক্ষতির হুমকি প্রদান করেন। পাশাপাশি জোরপূর্বক সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়া হয়। থানায় বিচার না পাওয়ায় বাদী আদালতের আশ্রয় নেন।

এ ব্যাপারে পাঁচলাইশ থানার ওসি আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, এটি টাকা লেনদেন সংক্রান্ত ব্যবসায়িক বিরোধ। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।