আবুল কালাম , চট্টগ্রাম :

নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন চট্টগ্রামের ‘কর্ণফুলী নদী সহ ৫টি নদী নিয়ে মাষ্টার প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে। তুরাগ নদী, শীতলক্ষ্যা, বুড়িগঙ্গাসহ এ ৫টি নদী নিয়ে দুয়েক দিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী দেখে মাস্টারপ্ল্যান অনুমোদন দেবেন। এরপরই এসব নদীর তীর দখলমুক্ত করার কাজ শুরু হবে।’

সোমবার (২০ মে) দুপুরের দিকে বন্দরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘নদী এক দিনে দখল হয়নি। ১০০ বছর ধরে দখল হচ্ছে এ সব নদী। নদীর পাড়ে বিদ্যুৎ প্লান্টও বসে গেছে। আমরা প্রাথমিকভাবে এই পাঁচটি নদী নিয়ে কাজ করবো। নদীর পাড়ের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। আগামী ১০ বছরে এসব নদী দূষণ ও দখলমুক্ত করা হবে।’

চট্টগ্রাম বন্দরকে বিশ্বের শীর্ষ বন্দরে পরিণত করতে চান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের পথচলা ১৩২ বছরের। সরকার চট্টগ্রাম বন্দরকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। আমরা এই বন্দরকে বিশ্বের বন্দরগুলোর মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে নিয়ে যেতে চাই। এর জন্য অনেকগুলো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব উদ্যোগ বাস্তবায়িত করা হবে।’ এর জন্যে বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘বন্দরের উন্নয়নে বন্দর সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সবাইকে চেন অব কমান্ড মেনে কাজ করতে হবে। দেশের প্রতি দায়িত্ব আছে এটা মনে রাখতে হবে। তবেই আমরা লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো।’

সভায় হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপি বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল জুলফিকার আজিজসহ বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।