রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন সংক্রান্ত বিষয়ে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তা অনুমান নির্ভর, ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন।

আজ সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক, উপ- পরিচালকসহ যে সব কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করছেন, তারা বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের নিয়মিত কর্মকর্তা-কর্মচারী। সুষ্ঠুভাবে প্রকল্প বাস্তবায়নে তাদের সংযুক্ত করা হয়েছে। তারা কমিশন থেকে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বেতনক্রম অনুযায়ী বেতন-ভাতা গ্রহণ করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে প্রকল্প পরিচালক সম্পর্কে বলা হয়, তিনি কোম্পানির এমডি-ও। কোম্পানির এমডি হিসেবে তিনি কোনো বেতন-ভাতা গ্রহণ করেন না। তাছাড়া একাধিক সংস্থা থেকে বেতন-ভাতা গ্রহণের সুযোগ নেই।

বিজ্ঞপ্তিতে গাড়িচালক ও বাবুর্চি প্রসঙ্গে কমিশন জানিয়েছে, কোম্পানিতে এখনো গাড়িচালক ও বাবুর্চি নিয়োগ করা হয়নি। ফলে তাদের বেতন-ভাতা দেওয়ার প্রশ্ন অবান্তর। বর্তমানে যে সকল গাড়িচালক ও বাবুর্চি আছে তারা দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে মাসে সর্বোচ্চ সাড়ে ১৫ হাজার টাকা বেতন পান। ফলে প্রকল্প সংক্রান্ত যে সকল তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে তা নিতান্তই কল্পনা প্রসূত এবং প্রকল্পের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার প্রয়াস।

উল্লেখ্য, গত ১৬ মে একটি জাতীয় দৈনিকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসবাসের জন্য নির্মিত গ্রিন সিটিতে আসবাবপত্র ও অন্যান্য জিনিসপত্র ক্রয়ে দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। যেখানে কাজের অস্বাভাবিক খরচ নিয়ে নানা ধরনের তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরা হয়। এই রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর সারা দেশে সমালোচনার ঝড় শুরু হয়।