সংবাদ বিজ্ঞপ্তিঃ
ঢাকাস্থ কিশলয় প্রাক্তন ছাত্র সংসদ (কিপ্রাছাস) এর উদ্যোগে ঢাকায় বসবাসরত কিশলয় পরিবারের কমিউনিটির সন্মানে ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৮ মে) ঢাকার কলাবাগানে এম ক্যাফ রেস্টুরেন্টে এ উপলক্ষ্যে ঘটেছিল কিপ্রাছাসের মিলন মেলা।
সফল এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন কিশলয়ের প্রাক্তন ছাত্র মো: এরফানুল হক ৯৬, এন এম আবদুল্লাহ আল মামুন’ ৯৭, এম ইলিয়াস’ ৯৭, রোকন উদ্দিন’ ০৩, রেজাউল করিম রেজু’ ০৩, জনি’০৪, আজিজুর রহমান ভূইয়াঁ’০৮, আর এ রেজা’০৯, আতিকুল ইসলাম কাইফ’০৯, আহসান টিটু’০৯, সেলিম ইকবাল’০৯, কফি ডা মহা রাজ’০৯, শাহারির ইসলাম’০৯, আব্রার আরফান’০৯, এন সাকিব’১০, সাইফুল ইসলাম আবির’১৩, আব্দুল্লাহ আল কবির’১৪, তানজিম আমিন কৌশিক’১৪, মোহাঃ একরামূল হাসান’১৭, আবু সায়েদ ইমন’১৭, তৌসিফ রাজ, এস ইসলাম তুহিন, মোরশেদুল ইসলাম, মাসরুর প্রমুখ।
ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অত্র স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র এরফানুল হক। তিনি বলেন, ঢাকাস্থ কিশলয় প্রাক্তন ছাত্র সংসদ (কিপ্রাছাস) সবাইকে মাহে রামাদান ও আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা। কিপ্রাছাস এর সকল সদস কে আরও গতিশীল কর্মকান্ডে সকল উপস্থিতি ও সহযোগিতার জন্য অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন।
কিশলয় প্রাক্তন ছাত্র সংসদ, ঢাকাস্থ এর সমন্বক প্রতিনিধি হিসেবে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সংগঠ্নের অন্যতম সদস্য, ৯৭ ব্যাচের এন. এম. আবদুল্লাহ আল মামুন। প্রতি বছরের মত এই বছর ও কিপ্রাছাস ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠান করায়, ঢাকাস্থ কিশলয় প্রাক্তন ছাত্র সংসদ (কিপ্রাছাস) এর পক্ষ থেকে উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন। তিনি পরামর্শ দিয়ে বলেন, সারা বছরই বেড়ানোর জন্যে উপযুক্ত থাকলেও সবাই সাধারণত শীতকালেই ভ্রমণ করতে বেশি পছন্দ করে। শীতে স্কুল কলেজ গুলো বন্ধ থাকে বিধায় একটা ছুটির আমেজ থাকে। আর ভ্রমণের জন্যেও শীতের আবহাওয়া বেশ উপযোগী। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টান স্টাডি ট্যুরের জন্যে এই সময়টাই বেচে নেয়। বিনোদন ও মানসিক প্রশান্তির জন্যে কর্মস্থল থেকে সবাই মিলে শীতে পিকনিক করা খুব সাধারণ ব্যপার হয়ে গেছে। কিপ্রাছাস সংগঠনকে ঢাকার বুকে আরো গতিশীল, বিনোদন ও মানসিক প্রশান্তির লক্ষে শীত কালে ঢাকার অদুরে আউটডোর ট্যুর করার জন্য ব্যাচ প্রতিনিধি সবাইকে পরিকল্পনা নেওয়ার জন্য অভিমত ব্যক্ত করেন।
কিপ্রাছাসের অন্যতম সদস্য এম ইলিয়াস আলোচনা সভায় বলেন, কিশলয় আদর্শ শিক্ষা নিকেতন সমুদ্র নন্দিনী কক্সবাজার জেলার অন্যতম একটি সুপ্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ বিদ্যালয়ের পথ পরিক্রমা যেমন দীর্ঘ, ঐতিহ্য ও সাফল্যমন্ডিত তেমনি সুপরিচিত। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে শিক্ষা, খেলাধুলা, সাহিত্য-সংস্কৃতি সর্বত্রই এ প্রতিষ্ঠানের রয়েছে সাবলিল বিচরণ। যার ফলে ৩১ বছরের সুদীর্ঘ যাত্রায় এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে জন্ম নিয়েছে হাজারো গুণীজন। যারা আপন আলোয় ভাস্বর। শেখড়ের টানে পেছন ফিরে তাকানোর প্রবণতা বাঙ্গালীর সহজাত। যে তাগিদ থেকেই ঐতিহ্যমতি এই বিদ্যালয়ে বসাতে চাই প্রাক্তনদের মিলনমেলা।
পূনর্মিলনী ও সম্মেলন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন কলেজ, মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অস্বচ্ছল পরিবারের দরিদ্র মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা বৃত্তি ও স্টুডেন্ট গ্রাজুয়েশন ও গুণীজন সংবর্ধনা স্মারক প্রদান পুনঃরাই চালু করার জন্য কিশলয় প্রাক্তন ছাত্র সংসদ (কিপ্রাছাস)কে ভবিষ্যতে আরও বিশেষভাবে উদ্যোগ গ্রহণে সুদৃঢ় করার উপর গুরুত্ব আরোপ করে উদারতা, সহানুভূতি এবং ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।
কিশলয়ের প্রাক্তন ছাত্রদের মধ্যে আরও মূল্যবান মতামত ব্যাক্ত করে রেজাউল করিম রেজু বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও ঢাকাস্থ কিশলয় প্রাক্তন ছাত্র সংসদ (কিপ্রাছাস) এর উদ্যোগে ইফতার মাহফিল ও আলোচনা আয়োজন করতে পেরে কিপ্রাছাসের সবাইকে মাহে রমজানের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তাছাড়া কিপ্রাছাস এর উদ্যোগে ঢাকায় ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা আয়োজনে অনেক পুরোনো ভাই-ব্রাদারসহ অনেক বন্ধুদের সঙ্গেও দেখা মেলে! আমরা আশা রাখব, যেন প্রতিবছর এর ধারাবাহিক অগ্রযাত্রাকে ধরে রাখতে পারি তাই সকলের প্রতি আন্তরিক আহবান।
উক্ত প্রাক্তনদের মিলনমেলা অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনা, সুখ- দুঃখ তুলে ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করে খোলামেলা আলোচনা করে বলেন, প্রতেক ব্যাচে ব্যাচে এত সংগঠনের আত্মপ্রকাশ নিয়ে কেউ কেউ বেশ অসন্তোষ প্রকাশ করে থাকেন। তাঁরা বলছেন, ছোট ছোট এত ইউনিট বা সংগঠন না করে বরং কিশলয় প্রাক্তন ছাত্র সংসদ (কিপ্রাছাস)কে ঐক্যবদ্ধভাবে সংগঠন করা গেলে সংগঠন যেমন শক্তিশালী হবে, তেমনি কার্যকরি ও হবে বলে মনে করেন। এর মাধ্যমে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সহ সারাদেশে কিশলয়ান আরও বেশি উপকৃত হতে পারবে বলে অনেকে আশা প্রকাশ করেন।
সংগঠন নিয়ে তেমন আগ্রহ নেই বর্তমান দায়িত্বশীলদের। আবার কেউ কেউ কিপ্রাছাস সংগঠনের কার্যক্রম নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন। সবার একটাই দাবী সংগঠনের লক্ষ্য (ভিশন) এবং উদ্দেশ্য (মিশন) সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারণা থাকা চাই। প্রায় ৫ বছর ধরে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান করার প্রক্রিয়ায় নেই এই ঐতিহ্যবাহী সংগঠনের। উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১৩ সালে কিশলয় প্রাক্তন ছাত্র সংসদের স্কুল প্রাঙ্গণে পূনর্মিলনী ও সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আলোচনা সভায় আরও দাবি রেখে বলেন, ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য প্রতি বছর অন্তত একটা করে স্কুল প্রাঙ্গণে পূনর্মিলনী ও সম্মেলন অনুষ্ঠান করার আয়োজন করলে, ঢাকাস্থ কিশলয় প্রাক্তন ছাত্র সংসদ (কিপ্রাছাস) সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
আলোচনা শেষে সবাইকে নিয়ে দেশ ও জাতীর কল্যাণ কামনা করে এক বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন মুহাম্মদ আব্দুল ওয়াহিদ।
সফল এই অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন অত্র ছাত্র সংসদের সদস্য হোসাইন মোহাম্মদ জুনাইদ আনসারী, ইফতার পূর্বে পরিচিতি ও উন্মুক্ত আলোচনায় সংগঠনের সদস্য বৃন্দের অংশগ্রহণে সমগ্র অনুষ্টান প্রানবন্ত হয়ে ওঠে।