পেকুয়া সংবাদদাতা:
পেকুয়া রুটে ফের মানবপাচার শুরু করেছে চিহ্নিত পাচারকারীরা। শনিবার ভোররাতে উজানটিয়া ইউনিয়নের করিমদাদ মিয়াঁর ঘাট থেকে মালয়েশিয়াগামী ৬৭ রোহিঙ্গা নারীপুরুষ ও শিশুকে উদ্ধার করার পর বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহ প্রশাসনের নজরে আসে। তাই এব্যাপার নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় প্রশাসন। মানবপাচার বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
পেকুয়া থানা পুলিশ সূত্র জানায়, উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন ক্যাম্পের বাসিন্দা এসব রোহিঙ্গারা দালালের খপ্পরে পড়ে সাগর পথে মালয়েশিয়া পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করে। দুই বছর পূর্বে তারা বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসে।
এ মানবপাচারের ঘটনায় পেকুয়া থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সুমন সরকার বাদী হয়ে এজাহারনামীয় ১০ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে মামলা দায়ের করেছেন। আসামীদের মধ্যে ৬ জন উজানটিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ও অপর ৪ জন রোহিঙ্গা। এতে আরো ১০-১২ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামী করা হয়েছে।
এজাহারনামীয় আসামীরা হলেন, উজানটিয়া ইউনিয়নের মিয়াজি পাড়া এলাকার ছিদ্দিক আহমদের ছেলে মো: টিপু (২৫), রেজাউল করিমের ছেলে আবদুল গণি (৪০), মো: মনছুর (২৭), মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে মোঃ মেজবাহ (৪০), একই ইউনিয়নের হোয়াইক্কা মার্কেট এলাকার মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে জসিম উদ্দিন মনু (৪০) ও মোজাম্মেলের ছেলে আব্দুল কাদের (২৬)।
উদ্ধার রোহিঙ্গাদের বরাত দিয়ে পেকুয়া থানার ওসি জাকির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, মোঃ টিপু, আব্দুল গণি, মোঃ মনছুর ও মোঃ মেজবাহ নামের চারজন দালালে মাধ্যমে তারা সাগর পথে অবৈধ ভাবে মালয়েশিয়া যেতে পেকুয়া উপকূলে এসেছিল। জসিম উদ্দিন মনু ও আব্দুল কাদের নামের দুইজন নৌকার মাঝি তাদের নিয়ে সাগর পাড়ি দেয়ার চেষ্টা চালায়। এর আগে শুক্রবার মধ্য রাতে তারা বাসযোগে করিমদাদ মিয়াঁর ঘাটে পৌঁছায়। শনিবার ভোররাতে ট্রলারযোগে সাগরপথে রওয়ানা করার আগমুহূর্তে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।
ওসি আরো বলেন, উদ্ধার করা রোহিঙ্গাদের আইনি প্রক্রিয়া শেষে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রেরণ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পাচারের ঘটনায় জড়িত ৪ রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের প্রেরণ করা হয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।