আজাদ মনসুর:
একটা সময় ছিল কলেজ জীবন পার করেই মেধাবি ছাত্র ছাত্রীরা জার্নালিজমে পড়ার জন্য খুব আগ্রহি হয়ে উঠতো তা সেটা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েই হোক অথবা বেসরকারি। দিন দিন ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়া যেমন বেড়েছে প্রেস মিডিয়াও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আর অনলাইন পোর্টালগুলো সাংবাদিকদের জন্য নতুন নতুন দ্বার উন্মোচন করে দিয়েছে। অবশ্য অনলাইন পোর্টালের ব্যাপারে সরকারের সব সময় বাড়তি একটি দৃষ্টি থাকে, কারণ এখানে সমস্ত নিউজ খুব দ্রুত বিশ্বের যে কোন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে।

বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে ফেসবুক মাধ্যমে ঘরে বসে থাকা অনেক স্বঘোষিত সাংবাদিক নিজের ইচ্ছে অনিচ্ছে, পছন্দ -অপছন্দ শেয়ার করেই কেবল মনের মত করে মত প্রকাশ করতে সক্ষম। তার মানে কী দাঁড়াচ্ছে, যারা এই সব মনগড়া কথা লিখে যাচ্ছে তারা সাংবাদিক আর ফেইসবুক তাহলে পত্রিকা? তারা যা লিখছে তাই আমাদের বিশ্বাস করতে হবে? আশ্চর্য হলেও সত্যি শিক্ষিত মানুষ তাই বিশ্বাস করছে। তাই বর্তমানে আমরা যারা সাংবাদিকতা চর্চা করি তাদেরকে সাংবাদিকতার মূল ইটিক্স সম্পর্কে অবগত ও তা শতভাগ মানতে হবে। টিভি, প্রিন্ট ও অনলাইন মাধ্যম যাই হোক আমাদের সাংবাদিকতায় সবচেয়ে স্মার্ট, তরুণ, ক্রিয়েটিভ, পরিশ্রমী, ব্যক্তিত্ববান, সাবলম্বী, নিষ্টাবান, সৎ, সাহসী, কর্মঠ ও কমিউনিকেশন ইত্যাদির সম্মিলন থাকতে হবে। প্রায় দু’দশকের সাংবাদিকতার ইত্যকার বিষয়ে অভিজ্ঞতা সম্বলিত ধারাবাহিক লেখা সম্মানিয় পাঠকদের সামনে আসছি ‘কক্সবাজারের সাংবাদিকতার যতকথা’ নামক শিরোনাম নিয়ে। আজ লেখাটির প্রথম পর্ব।

পর্যটন বারান্দাখ্যাত বিশ্বের দীর্ঘতম বেলাভূমি ও পর্যটন রাজধানী স্বপ্নের দরিয়াপাড় কক্সবাজারের একঝাঁক তারুণ্যদীপ্ত শান্তিকামি, প্রতিশ্রুতিশীল, সৃজনশীলতার প্রতিনিধিনিত্বশীল সাংবাদিক সংগঠন কক্সবাজার সাংবাদিক সংসদ (সিএসএস)। তারুণ্যের জয়গান গাওয়া বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিভার স্বাক্ষর রাখা এই সংগঠনের মানুষগুলো সদা সংবাদপত্র ও সংবাদ পরিবেশকদের গুনগত মান উন্নয়ন, সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত সকল সংবাদকর্মীদের দায়িত্ববোধ ও জনসেবার মনোভাব সৃষ্টিতে যেমনি উৎসাহিত করেছে তেমনি কর্মদক্ষতা বাড়িয়ে পেশাদারিত্বের উৎর্কষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বহু সাফল্যগাঁথা সম্পন্ন তরুণ সংবাদকর্মী তেরী করেছে সংগঠনটি। ওইসব সংবাদকর্মী আজ স্ব-স্ব স্থানে প্রোজ্জ্বল। যা সিএসএস এর বড় অর্জন। ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সংবাদকর্মী ও সংবাদপত্রের কল্যাণে অনবদ্য অবদান রাখার চেষ্টা চালিয়ে আসছে সিএসএস। শুধু কি তাই?

মানবিক সৌন্দর্যে অবিচল পথ চলা থেমে থাকেনি সিএসএস’র। সংগঠনটির ধারাবাহিক কর্মযজ্ঞে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার পাশাপাশি পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে অনেকগুলো কাজ আজ সমাজে দ্রুবতারার মত। কক্সবাজারের অনেকগুলো সাংবাদিক সংগঠনের ভিড়ে সিএসএস কে আলাদা বৈশিষ্ট্যে সবার মাঝে তুলে ধরার প্রচেষ্টায় ব্রত ছিলেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। অনেকগুলো ফুল (সংগঠন) ফুটলেও সিএসএস’র গৌরবগাঁথা কর্মকান্ডে শানিত হয়েছে কক্সবাজারের সাংবাদিক, ক্রীড়ামোদিসহ নানা পেশাজীবী শ্রেণীর মানুষ। কেউ স্বীকার করুক বা না করুক সিএসএস পেশাদারিত্ব সাংবাদিক সংগঠন হিসেবে দীর্ঘ সাফল্যগাঁথা ৯ বছর পেরিয়ে দশে পা রাখবে আসন্ন ডিসেম্বর মাসেই। একটি সংগঠন ১০ বছর, ১১৩ মাস, ৪৯১ সপ্তাহ, ৩৪৩৯ দিন, ৮২৫৩৭টি ঘন্টা ও ৪৯৫২২২০টি মিনিট, ২৯৭১৩৩২০০টি সেকেন্ড অতিক্রম করা কম কিসের! সিএসএস এরকমই।

সংগঠনটি ভূমিষ্ট হওয়ার সময় কক্সবাজারে সংবাদপত্রের সংখ্যা এক্কেবারে হাতেগুনা। তরুণ সংবাদকর্মীর সংখ্যাও অনেক অনেক কম। সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার কল্যাণে কাজ করা সাংবাদিকদের ঠিকানা খ্যাত কক্সবাজার প্রেসক্লাব নিভু নিভু আবার দু’মতের দুই সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক ভাবে তেমন তৎপরও ছিল না। তৎকালিন সরকার দলীয় ইউনিয়নটি নানাবিধ যৌক্তিক কারণে সরব ছিল। ওই সময়েই কক্সবাজার সাংবাদিক সংসদ (সিএসএস) এর আত্মপ্রকাশ।

অভিষেক’র শুরুতেই সিএসএস তরুণ সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের পেশাগত মানোন্নয়নে ভূমিকা রাখে। এভাবেই ধারাবাহিক ভাবে তৃতীয় বারের মত সাংবাদিক প্রশিক্ষণ, দু’বার কক্সবাজার কৃতি সাংবাদিক ও শিক্ষাবিদদের সম্মাননা, মেডিক্যাল ক্যাম্প, শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম স্থায়ী করণের দাবীতে ৩ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে মানববন্ধন, গণ-স্বাক্ষর ও স্মারকলিপি প্রদান। পরে একই দাবীতে গণ অনশন কর্মসূচি করে সিএসএস। দুস্থদের খাবার ও শীতার্থদের পাশে থাকাসহ দেশের বিভিন্ন জাতীয় দিবসে শহীদ বেদিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ ও আলোচনা সভা, সাংবাদিকদের মৃত্যুতে স্মরণানুষ্ঠান ও অসুস্থদের আশু রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল এর মত বহু সাফল্যগাঁথাই সিএসএসের ফুলঝুঁড়িতে। সবচে কৃতিত্বের বিষয় এই, ১০০ বছরের সাংবাদিকতার ইতিহাসে টানা দু’বছর এর বেশি সময় ধরে শ্রম সাধনা করে গবেষণাধর্মী কক্সবাজার সাংবাদিক কোষ বইটিও কিন্তু সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার আর কক্সবাজার সাংবাদিক সংসদ (সিএসএস) গর্বিত কর্মীরা দাবী রাখতেই পারে। গ্রন্থটির দ্বিতীয় মুদ্রণ করতে পরবর্তী পদক্ষেপ খুব শিঘ্রই শুরু করবে বইটির প্রণেতা। তবে সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার এর নের্তৃবৃন্দ তাদের হীন-মানসিকতার কারণে মূল্যায়ন করা তু দূরের কথা, গেল ইউনিয়নের কোন বার্ষিক সাধারণ সভার প্রতিবেদনে তাদের কৃতিত্বের সাক্ষরসরূপ এই কাজটিকে মূল্যায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা দেখেছি বাম ঘরনার সাংবাদিক ইউনিয়ন এর নের্তৃবৃন্দ প্রজন্ম সাংবাদিকদের মূল্যায়ন করার পরিধি কত বড়। তাদের থেকে শিক্ষা নেয়া দরকার ডান ঘরনার সাংবাদিক ইউনিয়নের নের্তৃবন্দদের। বলতে পারেন এই সংগঠনের প্রধান হয়ে সাংবাদিকতা থেকে সাময়িকের জন্য পেটের দায়ে ও আইন শিক্ষায় ব্রত হয়ে দূরে অবস্থান করছি এখন দু’বছর। সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ নয়ন ও সাংবাদিকতার পাশাপাশি অন্য পেশায়ও নিয়োজিত। আগে এক সাথে সাংবাদিকতা ও অন্য পেশাটাও একযুগে করেছি। এখন শুধু একটিতেই সময় দেয়া হচ্ছে। এর একটা যৌক্তিক কারণও আছে যা অনেকেই জানেন।

একজন পেশাদার তথা সুস্থ্য সাংবাদিকতা চর্চার প্রদান অন্তরায় হলো যোগ্য, সৎ, পরিচ্ছন্নতা, ও যুক্ত হওয়া। এর কোনটাই যদি ছন্দপতন হয় তাহলে আধুনিক সাংবাদিকতার মূলধারাই যুক্ত হতে সময় লাগে বেশ। যদিও এখন এর বিপরীতমূখি যারা সাংবাদিকতা চর্চায় মগ্ন তারাই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সর্বত্র। তাদের গালে মূহ্যমান সকল দপ্তর। তাদের কাছে জিম্মি সাংবাদিকতার পবিত্র নীতি ও নৈতিকতা। এত বছর সাংবাদিকতা জীবনে আমি সংবাদ পরিবেশনে যদি কোন ব্যক্তির বক্তব্য নেয়া লাগে সে অর্থে সেল ফোনেই নিয়েছি। অনুরূপভাবে থানার কোন কর্তার বক্তব্যও একইভাবে সংগ্রহ করেছি। এই তু সেদিন ১৫ মে ২০১৯ আমার বোনে একটি জায়গাজমির বিষয়ে থানায় গেলাম। দেখলাম ওসি সাহেবের রুমে ভুঁইফোড় নব্য সম্পাদক ও সাংবাদিক নামধারী কয়েকজনকে দেখে আমি হতভাগ। তাদের কাজ থানা পাহারা দেয়া। কানেক্টটিভিটি থাকাটা ভাল সাংবাদিকতার লক্ষণ। কোন দপ্তরে বেশি ধর্ণা দেয়াটা চোখে পড়ার মত। তাও আবার থানায়। এতে করে প্রকৃত সম্পাদক ও সাংবাদিকদের মর্যাদা ক্ষুন্ন হচ্ছে না বৈকি? আরেকজন নিজেকে অতি বুদ্ধিজীবী সাংবাদিক নামধারী ব্যক্তি আরেকটা কম্পিউটার কক্ষে বসে কথা বলছেন। আমাকে দেখে তিনি কেন আসলাম জানতে চাইলে আমি হাত বাড়ালাম হ্যান্ডসিক করতে প্রায় দু’মিনিট হাত বাড়িয়ে থাকলাম ওনার কোন সাড়া নেই। পাশে অন্য লোকেরা আছে মর্মে হাত ফিরিয়ে নিলাম না। অনেকক্ষণ পর বাম হাত বাড়িয়ে দিল মহারতি কথা বলছে অন্যদের সাথে। চলার পথে এতো মানুষের সাথে কথা সাংবাদিকদের মধ্যে দু’থেকে চারজন সাংবাদিক আছে তাদের সাথে কথা বলতে টেক্স দিতে হয়। সালাম দিবেন, আপনার দিকেও তাকাবেনা। বয়সে বড় কর্মে বড় বুঝি হবেন না মশায়। আপনি পত্রিকায় কি ছিলেন সবার জানা আছে। বেশি ভাব নিয়ে চলবেনা বা বেশি মোহ দেখাবেন না, নথি আছে। এটা আমাদের প্রজন্ম সাংবাদিকদের জন্য লজ্জাকর। এখান থেকে আমাদের বেরোতে হবে। এখানে একটা কথা না বললে লেখাটা অসম্পূর্ণ রয়ে যায়।

২০০৪ সাল যখন কক্সবাজার থেকে একমাত্র নিয়মিত পত্রিকা দৈনিক সৈকত দিয়ে সাংবাদিকতার হাতেখড়ি হয় আমার। তখন দেখেছি যারা আমাদের অগ্রজ সাংবাদিক মহারতিরা ছিলেন তারা কোন প্রজন্ম সাংবাদিক নিজেদের মেধা, মননে ভাস্বর হোক চাইনি। কারণ তাদের জায়গা দখল হলে তাদের পকেটের ধারাবাহিক গতি হারাবে পকেটের ভাগ বসাবে। এটা আমি আপনাদের মাঝে বলতে চাই, বড় ক্ষোভ নিয়ে আমি নিজেকে গুটিয়ে রেখেছি আমাদের প্রাণের ভাতঘর হিসেবে খ্যাত সাংবাদিকতার পরম পেশা থেকে। এটিও থাকলে হয়তো আমার পরিবারটি নিয়ে আরও একটু ভাল ভাবে কোন একটা সমস্যা ছাড়া চলতে পারতাম। বলছিলাম কক্সবাজার প্রেসক্লাব ও কক্সবাজার সাংবাদিক আবাসন প্রকল্প নিয়ে।

২০০৯ সাল যখন কক্সবাজার সাংবাদিক সংসদ আত্মপ্রকাশ করে। তখন আমার সাংবাদিকতার বয়স সবে পাঁচে। শিক্ষানবিশ সাংবাদিকতা করেছি হাতে কলমে প্রায় দু’বছর। এভাবে বিভিন্ন পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে স্টাফ রিপোর্টার, নিজস্ব প্রতিবেদক, সিনিয়ির স্টাফ রিপোর্টার, প্রধান প্রতিবেদক, মফস্বল সম্পাদক ও বার্তা প্রধানের মত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণভাবে পালনের চেষ্টা করেছি। কক্সবাজার প্রেসক্লাবের বর্তমান সভাপতি দৈনিক সৈকতের সম্পাদক শ্রদ্ধাপ্রদ মাহবুবর রহমান তখনকার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আমি যদি ভুল বলি আপনি সংযোজন করবেন। কক্সবাজারের সিনিয়র সাংবাদিক বদিউল আলম ও সিনিয়র সাংবাদিক মাহবুবর রহমান’র একাধিকবার কক্সবাজার প্রেসক্লাবের দায়িত্বে ছিলেন। বদিউল আলম ও মুহম্মদ নূরুল ইসলাম একাধিকবার ছিলেন। তাদের মেয়াদে আমি তিনবার কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সদস্য পদের জন্য আবেদন করি। প্রথমবার আবেদন হারিয়ে গেছে। যোগাযোগের পর আবার দিতে বললে আবারও আবেদন করি। সেবারও আবেদন হারিয়ে যায়। তৃতীয়বারের মত আবেদনটি এখন কি অবস্থায় আছে আমি জানিনা। আমার মত হয়তো অনেকে আবেদন করেছেন। আমি আগেই বলেছি সে থেকে দু’পেশায় নিয়োজিত। তখন দু’ইটিতে সময় দিতাম। এখন একটিতেই দিচ্ছি। সাংবাদিকতা থেকে আমি এখন দূরে দু’বছর পেরিয়েছে।

সাংবাদিকতা যে হারে নীতি হারিয়েছে গণমানুষের আস্থার জায়গা থেকে দূরে সরে যাওয়ায় খানিকটা এ পেশা থেকে গুটিয়ে থাকলাম। আমার প্রাণের পেশায় ফিরব খুব শিঘ্রই। তখন কাউকেও সদস্য পদ দেয়া হয়নি। আর সদস্য না বাড়ানোর কারণে এক সময় কক্সবাজার প্রেসক্লাবে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। আপনারা একতরপা দায়িত্বহীনতার কারণে কক্সবাজারের সাংবাদিকতার তীর্থভূমি হিসেবে খ্যাত কক্সবাজার প্রেসক্লাবের এহেন অবস্থা। যার কারণে কক্সবাজার প্রেসক্লাব অনেক বছর অভিভাবক শুণ্য থাকে। এখন যদিও স্বগৌরবে ভাস্বর কিন্তু কক্সবাজারে যে সকল সাংবাদিকরা নিয়োজিত রয়েছে তাদের সদস্য লাভে বিভিন্ন ধরণের হয়রানির আভাস পাওয়া যাচ্ছে। কক্সবাজার আবাসন প্রকল্পের সভাপতি সাংবাদিক বদিউল আলম ও সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমদ। চলবে…

আজাদ মনসুর
এম.এ, এলএল.বি (শেষবর্ষ), আইটি স্পেশালিষ্ট
প্রণেতা-কক্সবাজার সাংবাদিক কোষ, সভাপতি-কক্সবাজার সাংবাদিক সংসদ (সিএসএস)
azadcox90@gmail.com ০১৮৪৫-৬৯ ৫৯ ১৬