ডেস্ক নিউজ:

বিলিওনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন কে না দেখে? পরিণত বয়সে হয়তো অনেকেই পৌঁছেও যান তাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে। কিন্তু তরুণ বয়সেই বিলিওনিয়ার? হ্যাঁ, দুনিয়ায় তারুণ্যেই বিলিওনিয়ার হওয়ার উদাহরণ রয়েছে অসংখ্য। চলুন তবে জেনে আসি এমন শীর্ষ পাঁচজনের গল্প যারা উত্তরাধিকার সূত্রে নয় বরং বিলিওনিয়ার হয়েছেন নিজের প্রচেষ্টাতে।

১. কেলি জেনার

গত মার্চের ফোর্বস ও ব্লুমবার্গের রিপোর্ট অনুযায়ী নিজের চেষ্টায় সর্বকনিষ্ঠ বিলিওনিয়ার হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন কেলি জেনার।

কেলি জেনারের পুরো নাম কেলি ক্রিস্টিয়ান জেনার। জন্ম ১৯৯৭ সালে। কেলি জেনার একাধারে আমেরিকান মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, মডেল, উদ্যেক্তা ও সমাজকর্মী। তিনি কসমেটিক কোম্পানি কেলি কসমেটিকসের প্রতিষ্ঠাতা।

২. মার্ক জাকারবার্গ

ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গকে আমরা সবাই চিনি। তিনি বিলিওনিয়ার হন ২০০৮ সালে যখন তার বয়স ছিল মাত্র ২৩।

৩. ইভান স্পাইজেল

পুরো নাম ইভান থমাস স্পাইজেল। জন্মগ্রহন করেন ১৯৯০ সালে। তিনি আমেরিকান বহুজাতিক কোম্পানি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম স্নাপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী। তিনি ২০১৫ সালে যখন তিনি বিলিওনিয়ার হন তখন তার বয়স ছিল মাত্র ২৫।

৪. জন কলিসন

জন কলিসন একজন আইরিশ বংশোদ্ভুদ তরুণ উদ্যোক্তা। জন্ম ১৯৯০ সালে। তিনি ইন্টারনেট পেমেন্ট মাধ্যম স্ট্রাইপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। ২০১৬ সালের নভেম্বরে যখন তার বয়স ২৬ বছর তখন নিজের চেষ্টায় পৃথিবীর সবচেয়ে তরুণ বিলিওনিয়ার হিসেবে স্বীকৃত হন।

৫. ডাস্টিন মস্কোভিজ

ডাস্টিন অ্যারন মস্কোভিজ জন্মগ্রহন করেন ১৯৮৪ সালে, আমেরিকায়। তিনি ফেসবুকের একজন সহ-প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। ২০০৮ সালে তিনি ফেসবুক ছেড়ে জাস্টিন রোসেনস্টাইনের সাথে অ্যাসনা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন প্রতিষ্ঠা করেন। ফোর্বসের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১০ সালে ফেসবুকের ২.৩৪ ভাগ শেয়ারের ভিত্তিতে তিনি সর্বকনিষ্ঠ বিলিওনিয়ার হিসেবে স্বীকৃতি পান।

উদ্দাম তারুণ্যেই বিলিওনিয়ার হয়ে যাওয়া নি:সন্দেহে বিশাল ঘটনা। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, প্রত্যেকের সাফল্যের পেছনে রয়েছে নিরন্তর পরিশ্রম, মেধা আর অধ্যবসায়। বিলিওনিয়ার হতে চাইলে তাদের জীবন থেকে কিছু শিক্ষা তো নিতেই পারেন।