মো. নুরুল করিম আরমান, লামা:

আসন্ন বর্ষা মৌসুমে বান্দরবানের লামা উপজেলা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে স্থানীয় কুটুমবাড়ী রেস্টুরেন্টের কনভেনশন হলে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, বেসরকারী সংস্থা ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের রাজনৈতিক ফেলো ও উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাদ্দাম হোসেন রাকিব। এতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল, নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি, গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মার্মা, সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ রফিক, পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. সাইফুদ্দিন ও আওয়ামীলীগ নেতা অজাহা ত্রিপুরা, ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক সদরুল আমিন অতিথি ছিলেন। সম্মেলনে স্থানীয় রাজনৈতিক, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, সামাজিক প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ অংশ গ্রহণ করেন।

সম্মলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বান্দরবান জেলার সবচেয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ উপজেলা লামা। উপজেলা শহরটি এ জনপদের গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ও বানিজ্যকেন্দ্র। যার উপর শহর এলাকার প্রায় ৫০ হাজার ও উপজেলার অন্য ইউনিয়নের প্রায় দেড় লক্ষ মানুষের জীবন জীবিকা নির্ভরশীল। নদীর পরিচর্যার অভাবে তুলনামুলকভাবে পানি উচ্চ প্রবাহ তীরে ছড়িয়ে প্রতিবছর নিম্নভুমি প্লাবিত হচ্ছে, আর তৈরি হচ্ছে আকস্মিক বন্যা। এছাড়াও শহর এলাকায় অপরিকল্পিত এবং অপর্যাপ্ত পানি নিস্কাশন ব্যবস্থার কারণে তৈরি হয় জলাবদ্ধতা। এতে সরকারী বেসরকারী সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, আদালত, উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, দোকান পাঠ, হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা প্লাবিত হয়ে কোটি কোটি টাকার ক্ষতির হয়। এছাড়া প্রায় সময় পথচারী ও শিক্ষার্থীরা জলাবদ্ধতা এলাকা পারাপার হতে গিয়ে প্রায় সময় দুর্ঘটনার সম্মুখীন হন। তাই জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে স্থানীয়দের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে। বিধায় লামা শহরবাসীকে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ থেকে মুক্ত করতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোার্ড, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষের কার্যকরী প্রদক্ষেপ দাবী করেন। পরিকল্পিত পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা, ড্রেন সংস্কার ও প্রসস্তকরণ, ঝিরি খনন, মাতামুহুরী নদী খনন ও দুপাড়ে বনায়ন সৃজন করলে নাব্যতা ফিরে জলাবদ্ধতা নিরসন হবে বলেও সম্মেলনে দাবী করা হয়।