নিজস্ব প্রতিবেদক:

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের অভিযোগ পেয়ে গভীর রাতে পুলিশি অভিযানের পর নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখলেও গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফের কক্সবাজার শহরের বড় বাজারে প্রভাবশালী দুর্বৃত্তরা অবৈধভাবে রাতের অন্ধকার বসতভিটা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে।

এদিকে দীর্ঘ সময় পার হলেও দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এতে বড় বাজারে কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতা ও পথচারীরা চলাচলে সমস্যায় পড়ছেন। এ ছাড়া বর্ষায় জলাবদ্ধতা ও শুষ্ক মৌসুমে দুর্গন্ধ শহরবাসীর ভোগান্তির আশঙ্কা রয়েছে।

সরেজমিন ঘুরে ও বড় বাজারে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বড় বাজারের ওই স্থানটি বেচাকেনার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। দূর দূরান্ত থেকে বাজার করতে আসা ক্রেতারা এখানে জড়ো হয়ে বিভিন্ন জাতের দেশী ও বিদেশী মুরগী কিনে। কিন্তু ওই জায়গায় স্থাপনা করার কারণে ক্রেতাদের জড়ো হওয়ার জন্য কোন স্থান রইলো না।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের বড় বাজার জি.বি মার্কেটের উত্তর পাশের্ব দেয়াল ঘেষে এবং সানসীটের নিচে ড্রেইনের উপর অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করছে বজল করিম গং। এরা ইতিপূর্বে দোকান স্থাপন করে মুরগি ব্যবসা করে আসছে। এতে বসতবাড়িতে দুর্গন্ধে ছেলেমেয়েদের পড়া লেখা বিঘ্ন হচ্ছে। বেসিন ও বাথরুমের পাইপ দিয়ে পোক আসছে। পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে পৃথক পৃথকভাবে মাননীয় জেলা প্রশাসক ও মাননীয় মেয়র বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু গত সোমবার সন্ধ্যার পরপরই ওই প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা শ্রমিক নিয়োগ করে উল্লেখিতস্থানে ইট-বালি-লোহা দিয়ে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করে যাচ্ছে। বাধা প্রদান করলেও তারা নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

মার্কেটের স্বত্বাধিকারী রোকেয়া বেগম জানান, বজল গং লিজ নেয়ার কথা বলে সেখানে স্থাপনা নির্মাণ করছে। সেখানে যদি লিজ নিয়েও স্থাপনা নির্মাণ করা হয় তাহলে এলাকার পরিবেশ মারাত্মকভাবে দুর্ষিত হবে। তাই লিজ নিয়ে থাকলে তা বাতিল করতে হবে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে এলাকায় সুষ্টু পরিবেশ বজায় রাখার আমি প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।

এদিকে মাছ বাজারের বজল গংকে অভিযুক্ত করে ক্ষতিগ্রস্ত রোকেয়া বেগম জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ পেয়ে ইউএনও সদরকে প্রয়োজনীয় ্ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রোকেয়া বেগম উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে গেলে তিনি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের আশ্বাস দিয়ে জেলা প্রশাসককে অবগত করেছেন।