আব্দুল মালেক সিকদার, রামু:

চেয়ারম্যান নির্দেশ দেওয়া সত্বেও এখনো খুলে দেওয়া হয়নি রামুর সেই দুই শত বছরের পুরানো রাস্তাটি। সেখানে অনুমোদনহীন বহুতল ভবণ নির্মাণ অব্যাহত রয়েছে। তাই এলাকাবাসীর চরম দুর্ভোগে ড়েছে। টিপু ও নিপু বড়ুয়া গং সরকারি চাকরি করার সুবাদে প্রশাসনের ক্ষমতা দেখিয়ে দীর্ঘদিনের চলাচলের রাস্তা দখল করে অবৈধ ভাবে জোর পূর্বক ভবন নির্মাণ অব্যাহত রাখায় রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে না পারায় মানবেতর জীবন যাপন করছে অনেক পরিবার।

এলাকার রাজনৈতিক সচেতন ও সুশীল সমাজ নেতৃবৃন্দরা বলেন, দীর্ঘদিনের রাস্তাটি দখল করে ভবণ নির্মাণ করে রাস্তা বন্ধ রেখে মানুষকে কষ্ট দেওয়া এইটা কোন ভাবে মেনে নেওয়া যায়না। এটা কোন ধরনের মানবতা! আমরা রামু উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলতে চাই দ্রুত সময়ের মধ্যে টিপু ও নিপু বড়ুয়া গংকে আইনের আওতায় এনে অবৈধ ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ করে রাস্তা উন্মুক্ত করে দেওয়া হউক।

এলাকাবাসী জানান, রামু সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে কর্মরত নিপু বড়ুয়া, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ী চালক টিপু বড়ুয়া নেতৃত্বে নির্মল বড়ুয়া, বাবুল বড়ুয়া, অর্পন বড়ুয়া গং ভূমিদস্যু চক্রটি সর্বসাধারণের চলাচলের দুই শত বছরের রাস্তা টিনের ঘেরা দিয়ে বন্ধ করে দিয়ে দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে অনেক পরিবার।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় দীর্ঘদিনের পুরাতন রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়ায় অনেক মানুষ চলাচল করতে না পারায় মানবেতর জীবন যাপন করতেছে ১৫/২০টি পরিবারের লোকজন। অসুস্থ কোন রোগীকে চিকিৎসার জন্য বের করা যাবে না এবং এ মুহুর্তে কোন মানুষের মৃত্যু হলে দাফন করার জন্য লাশও বের করা যাবে না।

এলাকাবাসী আরো জানান, তারা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি করার সুবাদে প্রশাসনের ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে এলাকার লোকজনকে দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচার জুলুম করে আসতেছে এবং রাত হলে মদ্যপান অবস্থায় বাড়িতে যাওয়ার সময় প্রতিবেশী লোকজনকে গালমন্দ করে ও হুমকি দেয়। তারা কারো কথা কর্নপাত করেনা। রাস্তা দখল করে ভবন নির্মাণ না করার জন্য এলাকাবাসী অনুরোধ করলে উল্টো এলাকাবাসীকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়াইবে বলে হুমকি দেয় বলে জানান স্থানীয়রা।

স্থানীয় ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও রামু থানা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম এর সাথে মুঠোফোনে বলেন, এলাকাবাসী যাতায়াত করতে না পারায় তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখি ১০০ বছরের পুরাতন রাস্তা দিয়ে ১৫/২০ টি বাড়ির লোকজন যাতায়াত করত। হঠাৎ করে টিপু বড়ুয়া গং অন্যায় ভাবে রাস্তাটি দখল করে টিন দিয়ে ঘেরা দিয়ে বাড়ি নির্মাণ করতেছে। তারা টিন দিয়ে রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছে। তাদের কাছ থেকে জানতে চাইলে বলে এটা আমাদের খতিয়ান ভূক্ত জায়গা। উভয়পক্ষকে কাগজ পত্র নিয়ে পরিষদে যাওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করি। উভয়পক্ষ পরিষদে আসে প্রত্যেকের কাগজ দেখাতে বলিলে টিপু বড়–য়া গং কোন কাগজ পত্র দেখাতে পারে নাই। টিপু বড়–য়া গং কে রাস্তা থেকে ঘেরা উঠাইতে নির্দেশ প্রদান করা হয়। এখনো পর্যন্ত রাস্তাটি খুলে দেওয়া হয়নি। আমার সাথে পরিষদে উপস্থিত ছিলেন রাজু বড়–য়া, অরুপ বড়–য়া কালু, লিটন বড়–য়া, তপন মল্লিক, নুর হোছেন মেম্বার, নুর আহাম্মদ মেম্বার আরো গন্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। রাস্তাটি খুলে না দিলে প্রশাসনের সাথে পরামর্শ করে রাস্তাটি খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে এবিষয়ে প্রতিকার পাওয়ার জন্য ১৪ই মে এলাকাবাসী রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
রাস্তা খুলে দিয়ে দুর্ভোগ ও জিম্মি দশা থেকে মুক্তি লাভের জন্য সর্বস্তরের প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিগণের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা এবং তারা ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।