– সৈয়দ তানবীর মাহমুদ খোন্দকার

উখিয়ার মোট জনসংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ। আর রোহিঙ্গা প্রায় ১০ লক্ষ। এটা একটা বাড়তি চাপ। আর এটা প্রতিনিয়ত অনুভব করছি অত্র উপজেলার সরকারি চাকরিজীবী সহ স্থানীয়রা। উখিয়া সারাবিশ্বে আলোচিত একটি জায়গা। কারণ এত বড় শরণার্থী ক্যাম্প পৃথিবীর কোন দেশে নেয়। তাই পৃথিবীর উৎসুক চোখ আমাদের দিকে।

রোহিঙ্গা বসবাসের দিকটি আমি নেতিবাচক হিসেবে নিচ্ছিনা। কারণ এটা সরকার করেছে। এতে আমাদের বলার কিছুই থাকেনা। তবে একটি কথা না বললে নয়, রোহিঙ্গা আসার কারণে স্থানীয় অনেক ছেলেমেয়ের চাকরি হলে ও স্থানীয় লোকজন অনেক ক্ষতিগ্রস্ত। উদারহরণস্বরূপ বলা যায়, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত একজন এনজিও কর্মীর বেতন ২০/২৫ হাজার টাকা। আর একজন এম,এ ডিগ্রিধারী শিক্ষক এর বেতন ১৬০০০ টাকা। অবশ্যই এটা কারো কাছে হাস্যকর মনে হতে পারে।  আমি সমাজ জীবনের পার্থক্য নির্ণয় করার জন্য তা উপস্থাপন করেছি।

এমন অনেক প্রমাণ আছে- বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে interview দিয়ে চাকরি পাননি। কিন্তু তারা fake certificate দিয়ে এনজিও তে চাকরি করে অতি অল্পসময়ের মধ্যে বাড়ি, গাড়ী ও লক্ষ টাকার মালিক। এটা কি সমাজ জীবনে প্রভাব ফেলেনা! আমাদের উখিয়া উপজেলায় হাজার হাজার এনজিও কর্মী বসবাসের কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী, গাড়িভাড়া, বাড়িভাড়ার দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। কিন্তু সেই অনুপাতে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন ভাতা বাড়েনি।

ম্যালথাস বলেন- জনসংখ্যা বাড়ে জ্যামিতিক প্রগতিতে (২,৪,৮,১৬) আর খাদ্য উৎপাদন বাড়ে গাণিতিক প্রগতিতে (১,২,৩,৪)। তাহলে বুঝা যায়, এটা স্থানীয়দের জন্য একটা দুর্যোগ। তাই উখিয়াকে বিশেষ অঞ্চল ঘোষনা করে- সরকারি চাকরিজীবীর জন্য রোহিঙ্গা ভাতা চালু করা হোক। প্রসঙ্গক্রমে বলা যায়, পার্বত্য জেলায় কর্মরত সরকারি চাকরিজীবী পার্বত্য ভাতা পায়। অবশ্যই এটা ঠিক, স্থানীয় কিছু লোককে সরকার বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে। পরিশেষে আবারো বলব, সাধারণ সরকারি চাকরিজীবীদের এ সুবিধা দেয়া হোক।


সৈয়দ তানবীর মাহমুদ খোন্দকার , সহকারি শিক্ষক ,মধ্য রাজাপালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। মোবাইল- ০১৮৪২৭৪৮১০৪।