সাইফুল ইসলাম বাবুলঃ

পেকুয়া উপজেলা এখন শনির দশায়। সদ্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান শ্রীঘরে। তার ভবিষ্যৎ কি একমাত্র উপরওয়ালাই জানেন। কেউ বলছে ভাগ্য বিড়ম্বনায় সিংহ শৃঙ্খলিত, কেউ বলছে কর্মফল, আমি বলবো যতই হোক গণপ্রতিনিধি প্রত্যাহিক কাজকর্ম বিঘ্নিত। জনগণ আশা করে ভোট দিয়েছেন। একটা কথা পরিষ্কার একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি আমজনতার নিজের বিবেক থেকেই ভোট প্রদান করেছেন। এখন যদি বলি কাজটি ঠিক হয়নি তাহলে পাগলের প্রলাপ। কারণ সাধারণ জনতা কখনো ভুল করে না। করলেও মন্দের ভালোটাই করেন।

বিচারিক রায়ের পর পেকুয়ার জনপদ স্তব্ধ সামাজিক চিত্র ফুটে উঠেছে। একজন রাজনৈতিক কর্মীর তিল তিল করে গড়ে উঠা সপ্ন ভূলুণ্ঠিত। সব নিয়তির খেলা। নিয়তির উপর কারো হাত নেই। অনেকে মনে করেন আমি নিজের নিয়তিকে নিজে গড়বো। তবে তার হার খুবই নগণ্য। তাই বলবো নিয়তি নির্ভর মানুষের ভাগ্যে ছেদ পড়ে। তাতে অবশ্যই ওপর ওয়ালার ইচ্ছে কাজ করে। আমাদের পেকুয়া থেকে শনির দশা যাবে না, গেলেও ফিরে আসে। রাজনীতি বলে যা আছে তা তো বাবুয়ানা। এখন তো ভাবে একা ফতে আলী। মহা ক্ষমতাধর আমরা বারবার বাবুর প্রস্থান কামনা করলেও তিনি জিতে যান। বড় ভাগ্যবান মানুষ। তথাকথিত বাবু তাই তিনি যা ইচ্ছে তাই করছেন । তিনি অকল্যাণের তালিকা তৈরি করেছেন। মামলা খাওয়াবেন, আঘাত করবেন।
অশ্রদ্ধা করবেন, ক্যাডার লেলিয়ে দেবেন। তার হাত অনেক লম্বা। তার উপর বিশেষ জায়গার আশীব্বার্দ আছে।

প্রশাসনও তার সিন্ডিকেটের বাহিরে নেই। তার মিথ্যে কথা সত্য হয়ে যাবে। তার ইচ্ছেকে দৈব জ্ঞান করে তার গুটিকতেক অনুসারী নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে। শুরু হলো মানুষের দ্বারা মনস্তাত্ত্বিক চাপ। শুরু হলো গ্যাদারিং মানুষকে নাজাহাল করার পালা। শুনেছি হিটলিস্ট করা হয়েছে। তাহলে কি নব্য বাংলা ভাইয়ের আবির্ভাব হলো? তাই কিছু জনতার ঝুলন্ত লাশ কি দেখা যাবে? নাকি ঘরবাড়ি ছাড়া হবে? সমাজে লেলিয়ে দেওয়া হলো এক ঝাঁক অশিক্ষিত নেশাগ্রস্ত যুবককে। আমরা পদ্মলোচনা দেখেও না দেখার ভান করবো। তাদের আস্ফালন এখনই শুরু হলো। পেকুয়া হবে মিনি সোমালিয়া। আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে। তাই প্রশাসনিক কর্তা মহোদয় এখন থেকেই সতর্ক হোন ক্ষয়ক্ষতির লাগাম ঠানার জন্য।

শুনছি জাপানিরা ঘূর্ণিঝড় দুর্বল করে বোমা মেরে। যা কল্যানের বোমা। আপনারা চাইলে সেই বাবু নামক ঘূর্ণিঝড়ের উপর বোমা মেরে ঠান্ডা করতে পারেন। পেকুয়ার আমজনতা কায়মনোবাক্যে চায় বাবুরও প্রস্থান হোক। এক জন বাবুকে হাওয়া দেয়ার জন্য মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করার কোন মানে হয় না । তাই রবীন্দ্রনাথের বলাকার মত বলতে চাই
“হেতা নয়
হোতা নয়
অন্য কোনোখানে,