আবদুল মজিদ ,চকরিয়া :

চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিকল্পিতভাবে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। হামলাকালে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ডিউটিরত মেডিকেল অফিসারকে লাঞ্ছিত করে চেয়ার ছুড়ে মেরেছে। এমনকি ইফতারের সময় হাসপাতাল মসজিদে জুতা পায়ে ঢুকে ইফতার সামগ্রী ছুড়ে মেরে আমির হোসেন নামে একজনকে মারধরের পর অপহরণের চেষ্টা চালানো হয়েছে। ১০ মে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ সংঘর্ষটি ঘটেছে।

গুরুতর আহত চকরিয়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের মাস্টার পাড়া এলাকার আলহাজ্ব ইসলাম আহমদ প্রকাশ ইউসুফ আলীর পুত্র মোহাম্মদ আমির হোসেন হাসপাতালের জরুরী বিভাগে প্রবেশের জেরধরে সকাল ১১ টায় ডুলাহাজারা এলাকার আমির হামজার পুত্র হাসপাতালের কর্মচারী নাজেম উদ্দিনের নেতৃত্বে হামলার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী এনে উক্ত হামলাটি হয়েছে।

জানাগেছে, সকাল ১১টায় হাসপাতালের পাকঘরে রান্না-বান্নায় সহযোগিতা করতে যান আমির হোসেন। আকর্ষ্মিকভাবে ঢুকে তাকে মারধর করেন নাজেম উদ্দিন। তাকে গুরুতর আহত করার বিষয়ে জরুরী বিভাগে ভর্তি করা হলে কেন ভর্তি করা হল মর্মে উত্তেজিত হয়ে উঠেন নাজেম উদ্দিন। এঘটনায় দুপুর ২টায় ডিউটিরত এমবিবিএস ডাঃ সামজোদা বেনজীরকে নাজেহাল করে এবং ডাক্তারের চেয়ার ভাঙ্গচুর করে বাহিরে ছুড়ে ফেলে দেন। এক পর্যায়ে দুপুর ২ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত ২ঘন্টা ব্যাপী জরুরী বিভাগে চিকিৎসা সেবা বন্ধ থাকে। এতে বিপাকে পড়ে হাসপাতালের আগত রোগীরা। কর্মরত ছিলেন মেডিকেল সহকারী নাজেম উদ্দিন। এমনকি জরুরী বিভাগে এন্টিকাজে সহায়তা করায় কর্মচারী অচিন্ত বাবুকেও মারধর করে নাজেম উদ্দিন গং। খবর পেয়ে বিকাল ৩ টার দিকে স্থানীয়রা হাসপাতালের সামনে নাজেমের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে। হামলার শিকার আমির হোসেন হাসপাতাল মসজিদে ইফতার করার সময় মসজিদে জুতা পায়ে ঢুকে নাজেম উদ্দিন, তার অপরাপর ভাই ও ভাড়াটিয়াদের নিয়ে ফের মারধর ও ইফতারি সামগ্রী বাহিরে ছুড়ে ফেলে। এমনকি নাজেম উদ্দিন ও তার সহযোগী ৫/৬জন লোক পুলিশ পরিচয়ে আমির হোসেনকে অপহরণের চেষ্টাও চালায়। ঘটনার সময় চকরিয়া উপজেলা যুবলীগের সহ সম্পাদক জয়নাল হাজারী উপস্থিত থাকায় অপহরণ করে নিয়ে যেতে পারেনি হামলাকারীরা। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চকরিয়া থানা পুলিশ পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। তবে নাজেম উদ্দিন গং জানিয়েছেন, বহিরাগত কিছু লোকজন নিয়ে তাদের উপরও হামলা চালানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, ঘটনার বিষয়ে অবগত হওয়ার পর তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডা: মোহাম্মদ শাহভাজ জানান, ঘটনাটি অত্যন্ত দু:খজনক। এবিষয়ে মাননীয় সাংসদকে অবহিত করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।