আবদুল মজিদ , চকরিয়া :

চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও ফাসিয়াখালীর সাবেক চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীর গাড়ী চালকের হামলায় আহত হয়েছেন চেয়ারম্যানের ভাগিনা মো: হামিদুল হক। গত ৮মে দুপুর দেড়টায় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে ঘটেছে এ ঘটনা।

অভিযোগে জানাগেছে, সম্প্রতি পরিষদের নিয়ন্ত্রিত একটি বালু মহাল ও গাড়ী চলাচল নিয়ে ইজারা দেওয়ার বিষয়ে তর্কাতর্কি হয় চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীর গাড়ী চালক হামিদের সাথে চেয়ারম্যানের ভাগিনা মো: হামিদুল হক মধ্যে। উক্ত ইজারায় অংশিদার হিসাবে গাড়ী চালক হামিদকে সিন্ডিকেটভূক্ত না রাখায় ভাগিনা হামিদের কাছ থেকে অন্যায়ভাবে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন। দাবীকৃত চাঁদা না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিনের উপস্থিতিতে গাড়ী চালক হামিদ, তার ভাই ৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য এজাহার আহমদের নেতৃত্বে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ভাগিনা মো: হামিদুল হকের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকালে ভাগিনা মো: হামিদুল হকের পড়নে থাকা শার্ট ছিড়ে ফেলে এবং ইজারার জন্য এবং ব্যবসায়িক রক্ষিত ৮০ হাজার টাকা ও ব্যবহৃত মোবাইল সেট লুট করে নেয়। আহত মো: হামিদুল হক ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড দক্ষিণ ঘুনিয়া গ্রামের মৃত শের আলীর পুত্র। ভাগিনা হামিদ জানিয়েছেন, ইজারার সিন্ডিকেট তালিকায় না রাখলেও চাঁদা চাওয়ার পাশাপাশি ড্রাইভার হামিদের মালিকানাধীন কয়েকটি ডাম্পার গাড়ী বালু মহালে দেওয়া চেষ্টাও চালায়। তার নেতৃত্বে ফাসিয়াখালীতে পাহাড় কাটা হচ্ছে।

চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীর ছোট ভাই সালাহ উদ্দিন বলেন, হামলার বিষয়ে তার ভাগিনা মো: হামিদুল হক তিনিসহ অপরাপর ভাই (নাছির উদ্দিন ও মহিউদ্দিন)দেরকে অবহিত করেছেন। মূলত: আমার বড় ভাই চেয়ারম্যানের নাম ভাঙ্গিয়ে গাড়ী চালক হামিদ আজ লক্ষ লক্ষ টাকার অবৈধ মালিক বনে গেছেন। তার নামে পরিষদের একাধিক ঘাট-গুধিও ইজারা নিয়েছেন। সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে সুকৌশলে গাড়ী চালক হামিদ লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতও করেছেন। মূলত: অতি বিশ্বাসে এধরণের গাড়ী চালকের কারণে লিয়াকত আলী সওদাগর খুন হয়েছিলেন। তাই এধরণের আত্মঘাতী গাড়ী চালকদের হাত থেকে নিজেদের সচেষ্ট থাকার আহবান জানান।