সংবাদদাতা:

কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাসিস্ট্রেট আদালতে এক সিনিয় র আইনজীবী প্রতারণার অভিযোগে আইনজীবী সহ কারীর বিরুদ্ধে
মামলা দায়ের করেছেন। আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে সরাসরি ওয়ারেন্ট ইস্যুর নির্দেশ দিয়েছেন। এ ঘটনা আদালত পাড়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র আইনজীবী উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের সোনাইছড়ি গ্রামের মৃত মোঃ কালুর পূত্র এডভোকেট খাইরুল আমিনের সাথে একই আদালতে কর্মরত আইনজীবী সহকারী উখিয়া উপজেলার হলদিয়া
পালং ইউনিয়নের বড়বিল গ্রামের মৃত হারু মিয়ার পূত্র ও বর্তমানে কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী এলাকার বাসিন্দা ফারুখ হোসেন হিরু ২০১০ সালে ০.৮০ শতক জমি ৪ লক্ষ টাকা দরদামে বিক্রির কথা সাব্যস্ত করে বায়না নামা দলিল করে দেড় লক্ষ টাকা নিয়ে পরে গত ১৯ মে ২০১৫ ইং রেজিঃ ৬৭৫ নং কবলা মূলে ঐ জমি এডভোকেট খাইরুল আমিনের বদলে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ডাঃ আবদুস ছালামকে বিক্রি করে দেন। পরবর্তীতে বায়নানামা দাতা আইনজীবী সহকারী ফারুখ হোসেন হিরোর কাছ থেকে মামলার বাদী আইনজীবী এডভোকেট খাইরুল আমিন বায়নার টাকা ফেরত চাইলে ফারুখ হোসেন হিরু গত বছরের ২৩ মার্চ সমস্থ লেনদেন অস্বীকার করেন।
পরিশেষে ৬ মে (সোমবার) এডভোকেট খাইরুল আমিন বাদী হয়ে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় (উখিয়া) আমলী আদালতে প্রতারণা ও আত্মসাতের অভিযোগে দন্ডবিধির ৪০৬/৪২০ ধারায় মামলা (নং- সি. আর. ১৪৩/২০১৯) দায়ের করেন, আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জনাবা জেরিন সুলতানা মামলাটি আমলে নিয়ে আসামী ফারুখ হোসেন হিরোর বিরুদ্ধে সরাসরি ওয়ারেন্ট ইস্যুর আদেশ দেন।

আদালতের বে সহকারী (পেশকার) মোহাম্মদ শফি জানান, মামলার আদেশে ইস্যূকৃত ওয়ারেন্ট ইতিমধ্যে উখিয়া থানা প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার বাদী এডভোকেট খাইরুল আমিন জানান, বারবার আসামী হিরুকে বায়নার টাকা ফেরত দিতে বলা হলেও গ্রাহ্য না করায় ও লেনদেন অস্বীকার করায় আদালতে মামলা করতে বাধ্য হয়েছি। মামলার আসামী আইনজীবী সহকারী ফারুখ হোসেন হিরো বলেন, তিনি মামলায় কয়েক দিনের মধ্যেই আত্মসমর্পণ করে জামিন নিবেন।