আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
স্ত্রীকে খুব ভালোবাসতেন সজল দাস। কিন্তু অনেকদিন ধরেই লক্ষ্য করছিলেন তার স্ত্রী মিঠু দাস কেমন বদলে গেছেন। বুঝতে পারলেন মিঠু গোপনে তার প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। বিয়ের চার বছর পরে সেই প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে ঘর ছাড়তেই সব কিছু স্পষ্ট হয়ে যায়। এতে অবশ্য মারমুখী আচরণ না করে বরং স্ত্রীর ভালোবাসার মর্যাদা দিয়েছেন সজল।

নিজেই স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়েছেন ২৮ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি। এমনকি সবাইকে চমকে দিয়ে নিজ উদ্যোগে প্রেমিকের সঙ্গে স্ত্রীর রেজিস্ট্রি করিয়েছেন। এমনকি বিয়ের রেজিস্ট্রির টাকা এবং রেজিস্ট্রি শেষ হওয়া পর্যন্ত সেখানে উপস্থিত থেকে সবকিছু পরিচালনা করেছেন সজল নিজেই। ভারতের নদিয়ার নবদ্বীপের মাজদিয়া মাঠপাড়ায় এমন ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটেছে।

সব কাজ শেষ করে যখন শূন্য হাতে ঘরে ফিরলেন তখন পুরনো ছবি আর স্মৃতি ছাড়া আর কিছুই ছিল না তার। পুরনো এসব স্মৃতি মনে পড়ে যাওয়ায় কেঁদে ফেলেন শিশুর মতো। কাঁদতে কাঁদতেই বলেন, ভালোবাসা মানে তো কাউকে জোর করে ধরে রাখা নয় বরং সে যেন ভালো থাকে সেটা করতে দেওয়া। জোর করে তো আর ভালোবাসা পাওয়া যায় না। তাই ওকে আটকে রাখিনি। ও যাকে ভালবাসে তার কাছে ভাল থাকুক।

সজল বলেন, মিঠু আসলে আমাকে কোনদিন ভালোবাসেনি। চার বছর ধরে শুধু অভিনয় করেছে। এবার অন্তত সত্যিকার ভাবে কাউকে ভালোবেসে সংসার করুক।