প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
কক্সবাজারে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জতাকি মিডওয়াইফ দিবস পালন করেছে হোপ ফাউন্ডেশন। এই উপলক্ষ্যে নানা কর্মসূচী গ্রহণ করে প্রতিষ্ঠানটি। রোববার (৫মে) সকাল ৯টায় কক্সবাজার প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন কর্মসূচীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এরপর জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে এক বিশাল র‌্যালী শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। এতে আরো অংশ নেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আশরাফুল আবছার ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা, হোপ ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর কেএম জাহিদুজ্জামানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা, ইউএনএফপিএ, আরটিএমআই এর কর্মকর্তারা, হোপ ফাউন্ডেশনে প্রশিক্ষণরত শতাধিক মিডওয়াইফ প্রশিক্ষণার্থী এবং হোপ ফাউন্ডেশনে কর্মরত মিডওয়াইফবৃন্দসহ বিভিন্ন স্তরের লোকজন কর্মচারী।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার কমাতে অনেক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ মাতৃ ও শিশু মৃত্যু রোধে বিরাট সাফল্য অর্জন করেছে। সরকারের সাথে অংশীদার হয়ে হোপ ফাউন্ডেশন মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসেবায় যে অবদান রাখছে তা প্রশংসনীয়।

দ্বিতীয় অধিবেশনের আওতায় সকাল ১১টায় হোপ ফাউন্ডেশন কার্যালয় চত্বরে এক আলোচনা সভায় অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন হোপ ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডাইরেক্টর কেএম জাহিদুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন- ইউএনপিএ’র শীর্ষ কর্মকর্তা কেত্রিন, মিডওয়াইফ বিশেষজ্ঞ রন্ডি এন্ডারসন, রোজেলিও র‌্যাফেল, মঞ্জু কর্মচারীয়া, হোপ হসপিটালের বিশেজ্ঞ চিকিৎসক নিন্ময় বিশ্বাস, সাইকোলজিক্যাল কো-অর্ডিনেটর স্টেপেনি রিচার্ড, প্রোগ্রাম ম্যানেজার জেমস, হোপ ফাউন্ডেশনের চীফ মেডিকেল অফিসার মোঃ ইসমাঈল। উপস্থিত ছিলেন- হোপ ফাউন্ডেশনের কো-অর্ডিনেটর রাকিবুল হক, প্রজেক্ট ম্যানেজার শওকত আলীসহ অন্যান্যরা।

হোপ ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর কেএম জাহিদুজ্জামান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে তার দেয়া ঘোষণা অনুযায়ী মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার রোধে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই অগ্রযাত্রায় শামিল হয়ে মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার রোধে অক্লান্ত কাজ করে যাচ্ছে হোপ ফাউন্ডেশন। এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে প্রশিক্ষিত মিডওয়াইফ তৈরি করতে ধাত্রী প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করে হোপ ফাউন্ডেশন। এই কোর্সের মাধ্যমে প্রতিবছর ৩০জনকে করে মিডওয়াইফ বের হয়। এই পর্যন্ত কয়েকশ মিডওয়াইফ প্রশিক্ষণ পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় সুনামের সাথে কাজ করছে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে নিকট অতীতেও গ্রামের অশিক্ষিত ধাত্রী দিয়ে সন্তান ডেলিভারি করানো হতো। এতে অনেক মা ও তার নবজাতক সন্তান অকালে মারা যেতো। কিন্তু সেই দিন এখন আর নেই। বাংলাদেশে এখন অনেক প্রশিক্ষিত মিডওয়াইফ রয়েছে। সরকার ও বেসরকারী সংস্থা মিডওয়াইফ বিদ্যায় প্রশিক্ষণ দিয়ে অনেক শিক্ষিত নারীদের মিডওয়াইফ হিসেবে প্রস্তুত করেছে। এসব প্রশিক্ষিত মিডওয়াইফরা এখন গ্রাম পর্যায়ে সুষ্ঠুভাবে সন্তান ডেলিভারিতে অবদান রাখছে।

আলোচনা সভা শেষে মিডওয়াইফ ও মিডওয়াইফ শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এই কর্মসূচী পালনে হোপ ফাউন্ডেশনের সাথে অংশীদার ছিলো ইউএনপিএ, আরটিএমআই।