মো.ওসমান গনি শুভ
পিতার-মাতার পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত কথাটি আমরা প্রায় ভুলতে বসেছি।  বলা হয়ে থাকে যে আল্লাহর পরেই পিতা-মাতার স্থান।  কিন্তু আজকাল তাঁরা তাঁদের প্রাপ্য সম্মানটুকুই পাচ্ছে না।  পিতা-মাতা কত কষ্ট করে খেয়ে না খেয়ে আমাদের পড়ালেখা শেখায়, মানুষের মতো মানুষ করে তোলে কিন্তু একটু বড় হলেই এক শ্রেণির সন্তানেরা তাঁদের সম্মান করে না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পিতা-মাতা একটু বৃদ্ধ হলেই তাঁদেরকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসে।
তাহলে এতো কষ্ট করে সন্তান লালন-পালন করার ফল কি তাঁরা পেল তাঁদের শেষ বয়সে?
পিতা-মাতা সন্তানের খুশির জন্য তাঁদের সর্বস্ব ত্যাগ করে কিন্তু সন্তান হিসেবে আমরা কি তাঁদের যথাযথ মর্যাদা দিতে পারি। পিতা-মাতার জন্য বৃদ্ধাশ্রম একটি অভিশাপের নাম। প্রত্যক সন্তানের উচিৎ মা-বাবাকে বৃদ্ধ বয়সে তাঁদের পাশে রাখা।  তাঁদের শখ-আহ্লাদের কথা শুনে তা পূরণের যথাসাধ্য চেষ্টা করা। সন্তানের জন্য মা-বাবা এক অশেষ নিয়ামত। এই নিয়ামতকে অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। তাই সময় থাকতে আমরা পিতা-মাতাকে সম্মান-শ্রদ্ধা করি এবং বৃদ্ধাশ্রমকে “না” বলি।
মো.ওসমান গনি শুভ, শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
মোবাইল নং.→০১৭৮২৭০৯৭১৩