হারুনর রশিদ,মহেশখালী :

মহেশখালী উপজেলার ধলঘাটা ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রভাবশালীদের দখল হতে উদ্ধার করেছে মহেশখালী উপজেলার (ভারপ্রাপ্ত উপজেলার নির্বাহী অফিসার ) সহকারী কমিশনার ভুমি অংগ্যজাই মারমা। এসময় সাথে ছিলেন মহেশখালী থানাধীন মাতারবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো:আনিছ উদ্দিন এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি ইউনিট এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। ১লা মে দুপুর ১২টার সময় ধলঘাটা ইউনিয়নের সরইতলা গ্রামের আবুল খাইরের ছেলে ছৈয়দ আকবর কর্তৃক অপদখলে রাখা ঘূণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রটি এবং হাতুর বাপের পাড়া গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে সাদ্দাম হোসেন কর্তৃক দখলে রাখা ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রটি দখল মুক্ত করে । আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে নতুন করে ইট দিয়ে তৈরী করা স্থাপনা ঘুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন। তৈরী করা স্থাপনা ঘুড়িয়ে দিয়ে ওইসব মালামাল স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জিম্মায় দিয়েছে প্রশাসন।

মহেশখালী উপজেলায় প্রায় ৮৬টির মতো ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রের মধ্যে অধিকাংশ আশ্রয় কেন্দ্র প্রভাবশালীরা দখলে রেখেছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে দোকান,গোয়াল ঘর, ফিশিং বোটের জালঘর এবং বসতবাড়ী বানিয়ে ব্যবহার করে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে ঘূর্ণিঝড় ফণি’র আঘাত আনার বিষয়টি প্রশাসন জেনে, জনস্বার্থে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোর অবস্থা জানতে গিয়ে বেরিয়ে আসে দূর্যোগপূর্ণ এলাকার ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রগুলো নিজের ঘরের মতো করে বসতি বানিয়ে ব্যবহার করছে কতিপয় লোক। বিষয়টি মহেশখালী উপজেলার (ভারপ্রাপ্ত উপজেলার নির্বাহী অফিসার ) সহকারী কমিশনার ভূমি অংগ্যজাই মারমা আমলে নিয়ে সরেজমিন পরিদর্শন পূর্বক অভিযান পরিচালনা করেছেন। স্থানীয়দের সহযোগীতায় ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রগুলো অপদখল মুক্ত করে সহকারী কমিশনার ভুমি অংগ্যজাই মারমা  বলেন- এই আশ্রয় কেন্দ্রগুলো কারো একার সম্পদ নয়। এগুলো এতদ অঞ্চলের সকল জনগণের সম্পদ। দূর্যোগকালীন সময়ে সাধারণ লোকজন আশ্রয় নিতে এই ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রগুলো স্থাপন করা হয়েছে। দখলে থাকা সকল ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রগুলো পর্যায়ক্রমে অভিযান পরিচালনা করে দখল মুক্ত করে দূর্যোগকালীন সময়ে মানুষের আশ্রয় নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।

ছবির ক্যাপশন- মহেশখালীর ধলঘাটায় ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র দখল হতে উদ্ধারের ছবি।