আবদুল কাইয়ুম, চট্টগ্রাম থেকেঃ
শোষণ,ক্ষুধা,দারিদ্র্য ও বৈষম্যমুক্ত একটি ইনসাফপুর্ণ সমাজ গড়বে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগরী।
১লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগরী শাখা আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা বলেন, ১লা মে নির্যাতিত, নিপীড়িত শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায় ও স্বীকৃতি পাওয়ার দিন। বিশ্বব্যাপী এ দিবস শ্রম জাগরণের দিবস। পুঁজিবাদ,সমাজতন্ত্র,ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ ও জাতীয়তাবাদ যুগের পর যুগ ধরে শ্রমিক অধিকারের পক্ষে মন ভুলানো চটকদার কথা বললেও শ্রমিকদের কল্যাণে ভুমিকা রাখেনি, বরং শ্রমিকদের স্বার্থ খর্ব করেছে। আদর্শহীন রাজনীতি শ্রমিকদের কল্যাণের পরিবর্তে বঞ্চনা করেছেই বেশী। এসব রাজনৈতিক নেতারা শ্রমিকের বন্ধু সেজে মুলত শ্রমিকদেরকে ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হিসাবে ব্যবহার করেছে।
বক্তারা বলেন শ্রমিকদের মুক্তির পথ কেবলমাত্র একটি তা হলো ইসলামী শ্রমনীতি। ইসলামী শ্রমনীতিই শ্রমিকদের মুক্তির একমাত্র সনদ। ইসলামী শ্রমনীতি প্রতিষ্ঠিত হলে শোষণ,ক্ষুধা,দারিদ্র্য ও বৈষম্যমুক্ত একটি ইনসাফপুর্ণ সমাজ গড়া সম্ভব। বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাজ করছে। সমাবেশে বক্তারা পবিত্র মাহে রমযানে হোটেল শ্রমিক ছাঁটাই ও নির্যাতন বন্ধ,সর্বস্তরের শ্রমিকদের ১৫ রমযানের পুর্বেই বেতন বোনাস প্রদান করার দাবী জানান।
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগরী শাখার উদ্যোগে শ্রমিক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগরী সভাপতি বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের খান। কেন্দ্রীয় সহকারী সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগরী সাধারণ সম্পাদক এস,এম,লুৎফর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন মহানগরী সহ-সভাপতি ডা: আব্দুল ওয়াছি, বন্দর শ্রমিক নেতা কাজী জাহাঙ্গীর হোসাইন, পতেঙ্গা থানা সভাপতি এনামুল কবির,সদর অঞ্চল সভাপতি মকবুল আহমদ, ডক শ্রমিক নেতা আবু তালেব চৌধুরী, বাকলিয়া থানা সভাপতি আসাদুল্লাহ আদিল, বায়েজিদ থানা সভাপতি মো: জাহাঙ্গীর আলম, চকবাজার থানা সভাপতি আবদুল আজিজ শোয়াইব, নির্মান শ্রমিক নেতা মো: ইব্রাহিম, হোটেল শ্রমিক নেতা মো: নুরুন্নবী, সদরঘাট থানা সভাপতি রফিকুল আলম, ইপিজেড থানা সভাপতি আবুল কাশেম আযাদ, পাহাড়তলী থানা সভাপতি কামাল উদ্দিন আহমদ, রিকসা শ্রমিক নেতা মো: আলমগীর, শ্রমিক নেতা রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে এক বিশাল মিছিল নগরীর বড়পুল থেকে শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন করে আবার বড়পুল মোড়ে এসে শেষ হয়।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।