ইমাম খাইর, সিবিএনঃ
আজ আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। শ্রমিকদের কথা বলার দিন, অধিকার আদায়ের দিন।
বিশ্বব্যাপী শ্রমজীবী মানুষের আন্দোলন-সংগ্রামে অনুপ্রেরণার উৎস এই দিন। মালিক-শ্রমিক সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা আর শ্রমিকদের শোষণ-বঞ্চনার অবসান ঘটার স্বপ্ন দেখারও দিন এটি।
এই দিনে ‘দুনিয়ার মজদুর এক হও লড়াই করো’ স্লোগানে মুখরিত করে পর্যটন শহর কক্সবাজার। সকাল সাড়ে নয়টা থেকে শহরের বিভিন্ন অলিগলি থেকে বের হয় শ্রমিকদের মিছিল ও র‌্যালি।
দুপুরের খরতাপ উপেক্ষা করে শ্রমিকরা তাদের অধিকারের কথা বলিষ্ঠ কণ্ঠে উচ্চারণ করে।
সামনে ব্যানার, গায়ে টি-শার্ট ও মাথায় লাল কাপড় পড়ে শ্রমজীবী মানুষগুলোর মিছিল ছিল চোখে পড়ার মতো। বেশ কিছু শ্রমিক সংগঠন মোটর শোভাযাত্রাও বের করতে দেখা গেছে। অভ্যন্তরীণ সড়কে যান চলাচল তেমন নেই।  দোকানপাটও খোলা নাই বললেই চলে। পুরো সড়ক যেন শ্রমিকদের দখলে।
প্রথমে শহরের পানবাজার রোড দিয়ে বিশাল মিছিল নিয়ে বের হয় কক্সবাজার সদর উপজেলার দর্জি শ্রমিক ইউনিয়ন। পুরো শহর দাপিয়ে বেড়ায় মিছিলটি। এরপর বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের বিশাল একটি মিছিল সড়ক- উপসড়ক প্রকম্পিত করে তোলে। তাতে হাজারো শ্রমিক ও শ্রমিক নেতারা স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করতে দেখা গেছে।
শহরে একে একে মিছিল নিয়ে বের হয় আরো অনেক শ্রমিক সংগঠন। মুহুর্তের মধ্যে পর্যটন শহর মিছিলের শহরে পরিণত হয়।
কক্সবাজার হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন, জেলা নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন, সদর উপজেলা লোড আনলোড শ্রমিক ইউনিয়ন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন, সদর উপজেলা বোট নির্মাণ ও মেরামত শ্রমিক ইউনিয়ন, টাইলস ফিটার শ্রমিক ইউনিয়নের মিছিল ছিল জমজমাট।
সকাল ১১ টায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
শহরের কয়েকটি পয়েন্টে পুলিশকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
১৮৮৬ সালের ১ মে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকরা শ্রমের উপযুক্ত মূল্য এবং দৈনিক অনধিক আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে আন্দোলনে নামেন। আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর পুলিশ গুলি চালায়। এতে অনেক শ্রমিক হতাহত হন। তাদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে দৈনিক কাজের সময় আট ঘণ্টা করার দাবি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর থেকে দিনটি ‘মে দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।