সংবাদদাতা:
টেকনাফ মডেল থানা হেফাজতে ১৫ দিন ধরে আবদুর রহিম নামে এক গরীব-অসহায় কৃষককে আটকে রাখার অভিযোগ করেছে স্বজনেরা। সেই সাথে ছেড়ে দিতে টাকা দাবী করার অভিযোগ আনা হয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
আবদুর রহিম নোয়াখালীয়াপাড়া এলাকার নুর আহাম্মদের ছেলে। গত ১৪ এপ্রিল রাত আনুমানিক ৩টার দিকে বাড়ী থেকে বাহারছড়া ফাঁড়ি পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে যায়। পরে থানায় হস্তান্তর করে বলে জানা গেছে।
আবদুর রহিমের স্ত্রী হালিমা খাতুন গণমাধ্যমকে অভিযোগ করেছেন, জ্ঞাত কোন মামলা তার স্বামীর নামে নেই। অজানা কারণে বাড়ি ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। এখন ছেড়ে দিতে ওসির নাম ব্যবহার করে ৫ লাখ টাকা দাবী করা হচ্ছে। অন্যথায় ক্রসফায়ার দেয়া হবে বলে জানিয়েছে।
আইন অনুযায়ী যে কোন আসামীকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে আদালতে হাজির করতে হবে। ১৫দিন অতিবাহিত হলেও আব্দুর রহিমকে আদালত কিংবা কারাগারে প্রেরণ করেনি থানা কর্তৃপক্ষ। তা নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছে স্বজনেরা।
হালিমা খাতুনের অভিযোগ, এএসআই হাবিবুল্লাহ ৫লক্ষ টাকা দাবী করেন। দাবী মতে টাকা না দেওয়ার কারণে থানায় আটকে রাখা হয়েছে।
আব্দুর রহিম পানের বরজ, ধান চাষসহ কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোন মামলা আছে কিনা কেউ জানাতে পারেনি।
এ ব্যাপারে জানতে বাহারছাড়া ফাঁড়ির টু-আইসি এএসআই হাবিবুল্লাহর বক্তব্য নিতে একাধিকবার গেলেও পাওয়া যায়নি।
টেকনাফ থানার ওসি প্রদিপ কুমার দাসকে মুঠোফোনে পাওয়া গেলেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।