নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
দাবীকৃত চাঁদা না দেয়ায় কক্সবাজার থেকে ফরিদপুরগামী একটি কাচা মাছবাহি ট্রাক আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। গত ২৩ এপ্রিল চাঁদপুরে ফেরিঘাটে এ ঘটনাটি ঘটে। পলাশ বড়ূয়া নামের এক পুলিশ পরিদর্শক ঘটনার সংঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ২৮ এপ্রিল চাঁদপুর পুলিশ সুপারকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন। তিনি কক্সবাজারের স্বানামধন্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স জে.কে ফিস এর স্বত্ত্বাধিকারী।

জয়নাল আবেদীন অভিযোগ করে বলেন, গত ২৩ এপ্রিল দিবাগত রাত ৩ টার সময় কক্সবাজার থেকে ফরিদপুর গামী মাছের ট্রাক চাঁদপুর হরিনা ফেরীঘাটে এস আই পলাশ বড়–য়া আমার মাছবাহী গাড়িটি জব্দ করে। এরপর আমার গাড়ির ড্রাইভারের মোবাইল (০১৮৪০৬৩৬২৯১) থেকে ফোন করে আমার কাছে ৭০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করায় আমার ইলিশ মাছের গাড়ীটি আটক করে চাঁদপুর মডেল থানায় নিয়ে যায়। যার গাড়ী নং-ঢাকা মেট্রো ড-১১-৭৯৮৯।

ভুক্তভোগি ব্যবসায়ী জয়নাল বলেন, গাড়ি আটকের পর চাঁদপুর আমি মডেল থানার ডিউটি অফিসারের মাধ্যমে চাঁদপুর থানার অফিসার ইনচার্জের সাথেও কয়েকবার যোগাযোগ করি। অফিসার ইনচার্জ গাড়িটি ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে আমাকে অবহিত করেন। দীর্ঘ ৮ ঘন্টা গাড়ী আটক করে আমার প্রেরিত মাছ যথাসময়ে বাজারে গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে না পারায়মাছের গুণগত মান নষ্ট হয়ে যায়। এতে আমি ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।

চাঁদপুর মৎস্য কর্মকর্তা বৈধতার মৌখিক সার্টিফিকেট দেওয়ার পরও তিনি কালক্ষেপণ করে সুকৌশলে টাকা আদায়ের চেষ্টা করেন। আমি পরিস্থিতির শিক্ষার হয়ে জরুরি পুলিশ সেবার ৯৯৯ নম্বরে যোগাযোগের মাধ্যমে গাড়িটি মডেল থানা থেকে পরের দিন সকাল সাড়ে ১০ টায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে মডেল থানার এএসপি অবহিত করেছেন। যা পুলিশ কর্তৃপক্ষ অবগত রয়েছে। তাই আমার ব্যবসায়িক ক্ষতিপূরণ ও উল্লেখিত দূনীর্তিবাজ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য একান্ত আবেদন জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় পাইকারী মাছের বাজার কক্সবাজারের ফিশারীঘাট। এখান থেকে দেশবিদেশে প্রতিদিন প্রচুর মাছ সরবরাহ করে আসছে ব্যবসায়ীরা। তাতে সরকারও প্রচুর রাজস্ব পাচ্ছে। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ সদস্যরা গাড়ি আটকে রেখে চাঁদা দাবী করায় মাছ সরবরাহ বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি পুলিশের সুনামও ক্ষুন্ন হচ্ছে। এ ধরণের কাজ বন্ধের দাবী জানিয়েছে কক্সবাজারের ব্যবসায়ীরা।