নিউজ ডেস্ক:
বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি সামান্য উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ফনীতে পরিণত হয়ে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন নিরক্ষীয় ভারত মহাসগর এলাকায় অবস্থান করছে।

ঢাকা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে ঘূর্ণিঝড়টি শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৯৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৮৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৯২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৮৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে ও উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ভারতের অন্ধ্র উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর বিক্ষুব্ধ আছে।

এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যা ৬টার পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং কুমিল্লা, নোয়াখালী অঞ্চলসহ ঢাকা, খুলনা রাজশাহী বিভাগের কয়েক স্থানে অস্থায়ী দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিচ্ছিন্নভাবে শিলা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আকাশ আংশিক মেঘলাসহ প্রধানত শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে।

শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল খুলনা ও যশোরে ৩৭.২০ ডিগ্রিসেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন গোপালগঞ্জে ২২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামীকাল ঢাকায় সূর্যোদয় হবে ভোর ৫টা ২৭ মিনিটে এবং সূর্যাস্ত যাবে সন্ধ্যা ৬টা ২৬ মিনিটে।