সিবিএন ডেস্ক:
১১ বছরের রোজান। এই বয়সেই সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে তার মিতালি। ঢেউয়ের তালে সে সার্ফিংয়ে মাতিয়ে তুলেছে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত। এই খুদে সার্ফারের স্বপ্ন এখন বিশ্ব জয়ের।

তারেক ইকবাল রোজানের বাড়ি কক্সবাজার শহরের বাহারছড়ায়। শহরের প্রভাতি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র রোজান এক বছর ধরে সার্ফিং রপ্ত করছে। পড়াশোনার পাশাপাশি সার্ফিং শেখে সে।

শুক্রবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে সৈকতের সি-গাল পয়েন্টে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী পঞ্চম জাতীয় সার্ফিং টুর্নামেন্ট। এতে জুনিয়র বয়েজ ক্যাটাগরিতে অংশগ্রহণ করেছে রোজান।

টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সার্ফিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাংসদ কাজী ফিরোজ রশিদ। বাংলাদেশ সার্ফিং অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শেখ ইউসুফ হারুনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান খান কবির, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার, আন্তর্জাতিক সার্ফিং অ্যাসোসিয়েশন সার্ফিং দ্য নেশনের প্রেসিডেন্ট টম বাওয়ার ও ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন।

আয়োজক কর্তৃপক্ষ জানায়, এবারের টুর্নামেন্টে তিন ক্যাটাগরিতে ৬৫ জন সার্ফার অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সী সার্ফার রোজান। টুর্নামেন্টে বিচারক হিসেবে আছেন আমেরিকার দ্বীপপুঞ্জ হাওয়াই থেকে আসা সার্ফিং দ্য নেশনের প্রেসিডেন্ট টম বাওয়ারের নেতৃত্বে একদল বিদেশি সার্ফার। আগামী রোববার টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে।

প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ক্লাব বাংলাদেশ সার্ফ গার্লস অ্যান্ড বয়েজের প্রতিষ্ঠাতা রাশেদ আলম বলেন, পাঁচ বছর ধরে এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই ধরনের টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হলে রোজানের মতো মেধাবী খুদে সার্ফাররা নিজেদের সবার সামনে তুলে ধরার সুযোগ পায়। শুধু প্রতিবছর একবার করে জাতীয় টুর্নামেন্ট নয়, সারা বছর ক্লাবভিত্তিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা দরকার।

কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, ‘সার্ফিং সারা বিশ্বে অত্যন্ত জনপ্রিয় খেলা। আমাদের দেশের বিশেষ করে কক্সবাজারের ছেলেমেয়েরা সার্ফিংয়ে অত্যন্ত দক্ষ। কিন্তু সঠিকভাবে তারা দাঁড়াতে পারছে না পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে। এ ক্ষেত্রে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা দরকার।’