প্রেস বিজ্ঞপ্তি :

শ্রীমৎ স্বামী চিন্তাহরণ পুরী মহারাজের প্রতিষ্ঠিত কক্সবাজার হরিজন ও জলদাশ পাড়ার উদ্যোগে সার্বজনীন মহতি ধর্মসভা এবং অষ্টপ্রহরব্যাপি মহানামযজ্ঞ উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে ৪ দিনব্যাপি মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের। এরমধ্যে শুক্রবার সকালে ছিল শ্রীমদ্ভগবদ গীতা আবৃত্তি, বক্তব্যে প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ এবং সন্ধ্যায় ছিল মহানামযজ্ঞের শুভ অধিবাস। বিভিন্ন গীতা স্কুলের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত শ্রীমদ্ভগবদ গীতা আবৃত্তি, বক্তব্যে প্রতিযোগিতা শেষে দুপুরে অনুষ্ঠিত হয় পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান। প্রবীণ মৃৎশিল্পী ও গীতাপ্রাণ নেপাল চন্দ্র ভট্টাচার্য্যর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রবীণ গীতা শিক্ষক ও গীতা শিক্ষক প্রতিষ্ঠাতা হরি সাধন পাল। এতে বক্তারা বলেন-গীতা ও নৈতিক শিক্ষায় পারে সমাজে একজন প্রকৃত মানুষ গড়ে তুলতে। গীতা সংবিধানের ধারাবাহিকতায় জীবন অতিবাহিত করতে পারলেই মানব জীবন সার্থক ও সুন্দর হবে। কেননা গীতা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মূখনিমসৃত বাণী। জাগ্রত সুশীল সমাজ বিনির্মানে শ্রীমদ্ভগবত গীতার বিকল্প নাই। দেশ, জাতি ও সমাজকে আলোকিত করতে হলে, নতুন প্রজন্মকে গীতার জ্ঞানের আলোয় উজ্জীবিত করতে হবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন-জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের কর্মকর্তা সাংবাদিক বলরাম দাশ অনুপম, সার্বজনীন হরিমন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ দাশ, বাংলাদেশ গীতা শিক্ষা কমিটির (বাগীশিক) জেলা সংসদের শিক্ষা ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মৃদুল মল্লিক, জ্যোতিষরতœ কৃষ্ণপদ জ্যোতিষী, শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সৎসঙ্গ আশ্রম ও শ্রীশ্রী কৃষ্ণানন্দধাম গীতা স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক পরিমল চন্দ্র দে। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন শ্রীমৎ চিন্তাহারী গীতা স্কুলের শিক্ষক সুকুমার দাশ।