মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
বিশাল জানাজার মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষের চোখের জলে রামু উপজেলার কাউয়ার খোপ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার, সফল পিতা আলহাজ্ব মনির আহমেদকে চিরবিদায় দেয়া হয়েছে। জানাজায় হাজারো জনতার ঢল প্রমান করেছে আলহাজ্ব মনির আহমেদ মেম্বার কত জনপ্রিয় ও জণবান্ধব লোক ছিলেন। মরহুমের বাসভবন সংলগ্ন কাউয়ারখোপ হাকিম-রকিমা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বুধবার বেলা আড়াইটায় অনুষ্ঠিত জানাজায় ইমামতি করেন-কাউয়ারখোপ বাজার জামে মসজিদের খতিব মাওলানা হোসাইন আহমেদ। জানাজার পূর্বে মরহুমের স্মৃতিচারণ করে বক্তৃতা করেন রামু উপজেলা পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল, ভাইস চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন, কাউয়ারখোপ ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাক আহামদ, কক্সবাজার জেলা পরিষদের সদস্য নুরুল হক কোম্পানি এবং মরহুমের জ্যেষ্ঠ সন্তান ও জেলা পরিষদের হিসাব রক্ষক মোহাম্মদ আবদুল মান্নান। মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল দিবাগত রাত সাড়ে দেড়টার দিকে কাউয়ারখোপ হাকিম-রকিমা উচ্চ বিদ্যালয় সড়কস্থ আলহাজ্ব মনির আহমেদ নিজ বাসভবনে হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে কাউয়ারখোপ থেকে তাৎক্ষনিক কক্সবাজার শহরের আল ফুয়াদ হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আলহাজ্ব মনির আহমেদ (৬৯)কে মৃত বলে ঘোষনা করেন। মরহুম আলহাজ্ব মনির আহমেদ কাউয়ারখোপের মনিরঝিল গ্রামের মরহুম হাজী আবদুল খালেক ও সুফিয়া খাতুনের জ্যেষ্ঠ পুত্র। বিশিষ্ট সসমাজকর্মী মরহুম মনির আহমেদ কক্সবাজার জেলা পরিষদের হিসাব রক্ষক মোহাম্মদ আবদুল মান্নান, কবি কামাল হোসেন ও নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার তসলিমুন্নেসা’র পিতা। মরহুম আলহাজ্ব মনির আহমেদ কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম মোজাফফর আহমেদ, কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব মীর কাশেম সিকদারের ভগ্নিপতি এবং সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম মাহমুদুল হক ওসমানী’র ভায়রা ভাই। জানাজা শেষে মরহুম আলহাজ্ব মনির আহমেদকে কাউয়ারখোপ কেন্দ্রীয় কবরস্থানে (টুইন্ন্যা মুরা) চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।
