নিজস্ব প্রতিবেদক:

হোপ ফাউন্ডেশন ফর উইমেন এন্ড চিলড্রেন অব বাংলাদেশ কর্তৃক পরিচালিত উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের মধূছড়া এলাকায় ‘হোপ ফিল্ড হসপিটাল ফর উইমেন’ পরিদর্শন করলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন নাহার। সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে তিনি আকস্মিক হসপিটালটি পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় হোপের ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর শাহনাজ বেগম তাকে অভ্যর্থনা জানান।

সচিব কামরুন নাহার হোপ ফিল্ড হসপিটাল ফর উইমেন এর ম্যাটার্নিটি, লেবার রুম, মহিলা ওর্য়াড, শিশু ওর্য়াড, নবজাতক ওয়ার্ড, অপারেশন থিয়েটার এবং ফার্মেসীসহ বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখেন। হোপ হসপিটালের গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. হোসনে আরা বেগম, ডেপুটি ডাইরেক্টর ডা. রুম্মান চৌধুরী, সিনিয়র ম্যানেজার শওকত আলী তাকে হসপিটালের বিস্তারিত সেবাসমুহ তুলে ধরেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব হোপ ফিল্ড হসপিটাল ফর উইমেন এর কার্যক্রমের প্রশংসা করেন।

 উল্লেখ্য, হোপ ফাউন্ডেশন বিগত ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মধুছড়ার ক্যাম্পে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট একটি হসপিটাল চালু করেছে। হসপিটালটিতে ম্যার্টানিটি, ইনডোর ও আউটডোর এর মাধ্যমে ২৪/৭ স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে যাচ্ছে।

আমেরিকা প্রবাসী কক্সাবাজারের কৃতি সন্তান ডা. ইফতিখার মাহমুদ মিনার এর অক্লান্ত পরিশ্রম ও মেধার মাধ্যমে কক্সবাজার জেলার মাতৃমৃত্যু, নবজাতক ও শিশুমৃত্যুর হার কমানো এবং প্রসবজনিত ফিস্টুলা মুক্ত করার জন্যই ১৯৯৯ সালে কক্সবাজার জেলার দক্ষিন মিঠাছড়ি ইউনিয়নের চেইন্দা নামক স্থানে ৪০ শয্যা বিশিষ্ট একটি হসপিটাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দরিদ্র ও অসহায় মানুষের স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে রোহিঙ্গা আশ্রয়গ্রহণকারীদের আগমনের পরপরই উক্ত ৫০ শয্যা বিশিষ্ট একটি হসপিটালটি প্রতিষ্ঠা করে। প্রসঙ্গত বলা দরকার যে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দেশী-বিদেশী হাসপাতালগুলোর মধ্যে হোপ ফিল্ড হসপিটাল ফর উইমেন-ই অন্যতম, যার মাধ্যমে প্রতিদিন শত শত রোহিঙ্গা আশ্রয়গ্রহণকারী এবং স্থানীয় রোগীরা স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ করছে।