সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
‘নুসরাত আমাদের বোন, আমাদের মেয়ে, নুসরাত একজন প্রতিবাদি কণ্ঠস্বর, নুসরাত বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় একজন ভবিষ্যতের নাম, সেই নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। আর আমরা ঘরে বসে থাকবো, তা হতে পারেনা। সেই নির্মম হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত অধ্যক্ষ সিরাজদৌল্লাহসহ সবার সর্বোচ্চ শাস্তি তথা মৃত্যুদন্ড দিতে হবে। তা না হলে নুসরাতের আত্মা যেমন শান্তি পাবেনা তেমনি দেশের মানুষও স্বস্তি পাবেনা। মুন্সীগঞ্জের সেতু মন্ডল, গাজীপুরের মণিকা গোমেজ হত্যাকারিদের বিচার না হওয়ার কারনে নুসরাতকে হত্যা করার সাহস পেয়েছে সেই পাষন্ডরা। সেতু মন্ডল, মণিকা গোমেজসহ সকল নারী হত্যাকান্ড ও ধর্ষনের ঘটনার দ্রুত বিচার করা হোক এবং নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ করা হোক। ২২ এপ্রিল কক্সবাজারে পৌরসভা চত্বরে পূজা উদযাপন পরিষদের মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ, সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ, পৌর পূজা উদযাপন কমিটির যৌথ উদ্যোগে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ এবং ফেনীর নুসরাত জাহান রাফি, মুন্সীগঞ্জের সেতু মন্ডল ও গাজীপুরের মণিকা গোমেজ এর হত্যাকারীদের বিচারের দাবীতে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এড. রনজিত দাশ এর সভাপতিত্বে এবং সদর উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি দীপক দাশ এর পরিচালনায় এক বিশাল মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের উপদেষ্টা দুলাল দাশ, নেপাল ভট্টাচার্য্য, সহ-সভাপতি- রতন দাশ ,উদয় শংকর পাল মিঠু, অধ্যাপক অজিত দাশ, সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক- সাংবাদিক দীপক শর্মা দীপু, সাংগঠনিক সম্পাদক- বিশ্বজিৎ পাল বিশু, বিপুল সেন, কার্যকরী সদস্য ও শ্রীশ্রী অনূকুল ঠাকুরের সৎসঙ্গ আশ্রমের সাধারণ সম্পাদক- ডাঃ চন্দন কান্তি দাশ, কার্যকরী সদস্য ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কক্সবাজার সদর শাখার সভাপতি ডা: পরিমল দাশ, পৌর পূজা কমিটির সভাপতি- বেন্টু দাশ, সদর পূজা কমিটির সহ-সভাপতি- কাঞ্চন দাশ, মিটন পাল, জেলা পূজা কমিটির সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাাদিকা- সবিতা মল্লিক, পৌর পূজা কমিটির সহ-সভাপতি- তপন দাশ, শাওন চক্রবর্তী (জনি), সাধারণ সম্পাদক- মিটন কান্তি দে, রাজু পাল, মিঠুন চক্রবর্তী, জেলা পূজা কমিটির কর্মকর্তা সাংবাদিক বলরাম দাশ অনুপম, শ্রীশ্রী অনূকুল ঠাকুরের সৎসঙ্গ আশ্রমের পুরোহিত- বিশ্বনাথ বন্দোপাধ্যায়, শ্রীশ্রী সরস্বতী বাড়ীর মন্দিরের পুরোহিত- স্বপন ভট্টাচার্য, শ্রীশ্রী কৃষ্ণানন্দধাম মন্দিরের পুরোহিত- মৃদুল ভট্টাচার্য, লোকনাথ সেবাশ্রম পুরোহিত- তরুণ ভট্টাচার্য, কক্সবাজার জেলা হিন্দু মহাজোটের সভাপতি অসীম কুমার চক্রবর্তী পিন্টু, নির্বাহী সভাপতি ও মুখপাত্র পলাশ সুশীল, সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজল কান্তি দে, সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক শিপন পাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিবেক পাল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক লালন পাল, সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক সুমন কান্তি দে, প্রচার সম্পাদক সুজন পাল, সহ-অর্থ সম্পাদক রানা মল্লিক, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক প্রভাষ পাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রতন দত্ত, সহ-দপ্তর সম্পাদক রিপন দাশ, কক্সবাজার সদর হিন্দু মহাজোটের আহবায়ক বিজয় কর্মকার লক্ষণ, সদস্য জিতেন পাল আদর, বিকাশ রুদ্র প্রমুখ।

এছাড়াও কক্সবাজার পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ, সদর পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ, পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ, কক্সবাজার জেলা হিন্দু মহাজোটের নেতৃবৃন্দ, সদর হিন্দু মহাজোটের নেতৃবৃন্দ, পৌর হিন্দু মহাজোটের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন মঠ-মন্দিরের পুরোহিত সহ সনাতনী সম্প্রদায়ের অভিভাবক এবং সবস্তরের জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধন বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তরা আরো বলেন, নুসরাত হত্যাকান্ডের বিচারসহ নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধের যে ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে তা সব অন্যায়ের প্রতিবাদে মাঠে থাকবে এই ঐক্য। সমাবেশে বিভিন্ন জায়গায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর ও মঠ, মন্দির ও শ্মশানের জায়গা জমি দখলবাজদের বিরুদ্ধে অনতি বিলম্বে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর দাবী জানানো হয়।