এ কে এম ইকবাল ফারুক, চকরিয়া:
পেকুয়া উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের কাছারীমোড়া সাহিত্যকেন্দ্র নামের একটি পাঠাগারের উদ্বোধন করা হয়েছে। এ সাহিত্যকেন্দ্রটি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন শিলখালী নবতরুণ সংঘ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকাল চারটায় বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে বেলুন উড়িয়ে ও ফিতা কেটে সাহিত্যকেন্দ্রের উদ্বোধন করেন পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু ও কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আসমা উল হোসনা।

শিলখালী নবতরুণ সংঘের সভাপতি এস এম হানিফের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল ইসলাম জিসাদ এর সঞ্চালনায় বিকেল সাড়ে চারটায় সাহিত্যকেন্দ্রের হলরুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আসমা উল হোসনা। এছাড়াও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন পেকুয়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম দিদারুল করিম, সাবেকগুলদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুজিবুল হক ও শিলখালী নবতরুণ সংঘের সাবেক সভাপতি শাহেদুল ইসলাম শাহেদ।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পেকুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ছফওয়ানুল করিম, পেকুয়া রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মো. ফারুক, চট্টগ্রাম প্রতিদিন পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার এহসান আল কুতুবী, সি-প্লাস টিভির সাংবাদিক এফ এম সুমন, বিজয় টিভির সাংবাদিক জসিম উদ্দিন, দৈনিক আপনকণ্ঠের সাংবাদিক মোহাম্মদ হিজবুল্লাহ, শিলখালী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডেন সাবেক ইউপি সদস্য জাহেরুল ইসলাম জাহেদ, শিলখালী নবতরুণ সংঘের সহসভাপতি সেলিম উদ্দিন, সদস্য শিহাবুল ইসলাম, সানাউল্লাহ সানি, এহেছানুল হক, আলম নূর, জুনাইদুল ইসলাম, শামীমুল ইসলাম লিটন, শিলখালী ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম, সমাজসেবক হেলাল উদ্দিন, ইদ্রিছ আলী, আবু তৈয়ব ও পহরচঁদা পাঠাগারের পরিচালক শোয়াইবুল ইসলাম প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ বলেন, পেকুয়া উপজেলার মধ্যে শিলখালী ইউনিয়ন শিক্ষাবান্ধব এলাকা হলেও কাছারীমোড়া এলাকাটি নানাক্ষেত্রে খুব বেশি অবহেলিত। এই গণপাঠাগার অবহেলিত জনপদে শিক্ষা বিস্তারে ব্যাপক ভুমিকা রাখবে।

কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আসমা উল হোসনা বলেন, পাঠাগারের অর্থ হচ্ছে জ্ঞানের মহাসমূদ্র। আজ কাছারীমোড়া এলাকায় সেই পাঠাগার স্থাপিত হয়েছে। এ পাঠাগারের আলোয় আলোকিত হবে কাছারীমোড়ার মানুষ। যতদিন বাঁচব তাঁদের পাশে থেকে সবধরণের সহযোগিতা দিয়ে যাবো। পাঠাগার স্থাপিত হওয়ায় এলাকার তরুণ সমাজ কোনো অপরাধে জড়িত হবে না বলে দৃঢ় বিশ্বাস রাখি।