সংবাদদাতা:
মহেশখালী সরকারি সরকারি বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ কেন্দ্রে চলমান এইচএসসি পরীক্ষায় ভুল প্রশ্ন দিয়ে পরীক্ষা নেওয়ায় চরম হট্টগোল সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হলে পরে সঠিক উত্তর পত্র দিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে এর পরও দায়িত্ব অবহেলায় তাৎক্ষনিক কেন্দ্র সচিবকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে জানান মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
চলমান এইচএসসি পরীক্ষার অংশ হিসেবে ২০ এপ্রিল পরীক্ষা ছিল হিসাব বিজ্ঞান ১ম, যুক্তিবিদ্যা ১ম ও পদার্থ বিদ্যা ১ম পত্র। কেন্দ্র ছিল মহেশখালী বঙ্গবন্ধু সরকারি মহিলা কলেজ।
এক পরীক্ষার্থী বলেন, পদার্থ বিদ্যা ১ম পত্রের এমসিকিউ উত্তর দিতে দিতে দেখি আমরা কিছুই বুঝতে পারছিনা। দীর্ঘ ২০ মিনিট হলের কোন পরীক্ষার্থী উত্তর করতে পারেনি। পরে বুঝতে পারছি আমাদের হাতে প্রশ্ন দেওয়া হয়েছে পদার্থ বিদ্যা ২য় পত্রের প্রশ্ন।
আমরা প্রথমে সেখানকার দায়িত্বরত শিক্ষকদের জানালেও উনারা প্রথমে সাড়া দেয়নি। পরে তাৎক্ষনিক পরীক্ষার্থীরা হট্টগোল শুরু করলে অপরাপর শিক্ষকরা এসে আমাদের কাছ থেকে ভুল প্রশ্ন নিয়ে ফেলে এ সময় বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজের শিক্ষকরা আমাদের সাথে চরম খারাপ ব্যাবহার করে। এমনকি আমাদের মেয়েদের কে ব্যক্তিগতভাবে নাজেহাল করে। তবুও শিক্ষকদের সম্মান রক্ষার্থে আমরা কিছুই বলিনি। পরে সেটা জানাজানি হলে প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা এসে সঠিক উত্তর পত্র দিয়ে পরীক্ষা নেয়। তবে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী পরীক্ষা ভাল করতে পারেনি। কারন একবার মনযোগ নষ্ট হয়ে গেছে সেটা পুনর্বহাল করা কঠিন। তাছাড়া উক্ত কলেজের শিক্ষকরা সঠিক প্রশ্নে পরীক্ষা দেওয়ার সময় আমাদের সাথে চরম খারাপ ব্যবহার করেছে। এব্যাপারে ৫নং কক্ষে দায়িত্ব পালনকারী হোয়ানক কলেজের প্রভাষক মো: নাছির উদ্দিন বলেন, ভুল বশত পদার্থ বিজ্ঞান ১ম পত্রের পরিবর্তে ২য় পত্রের এমসিকিউ প্রশ্ন দেয়া হয়েছে পরে জানতে পেরে তাৎক্ষনিক ভাবে সঠিক প্রশ্ন দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন-এতো গোপনিয়তা থাকা সত্তেও কিভাবে এ প্রশ্ন আসলো আমাদেরও প্রশ্ন?
এ ব্যপারে মহেশখালী সরকারি বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, ভুল সবারই হতে পারে। মূলত পরীক্ষার প্রশ্ন আনতে গিয়ে সেটে ভূল হয়েছে। তবে ২০ এপ্রিলের পরীক্ষায় কোন সমস্যা হয়নি। সমস্যা হয়েছে ১২ মে অনুষ্টিত পদার্থ বিদ্যা ২য় পরীক্ষার কারন প্রশ্ন এখন অনেকটা আউট হয়ে গেছে। পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজে শিক্ষা বোর্ডের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। এবং কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মকসুদ আহামেদ কে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তারস্থলে সহকারী অধ্যাপক মোকাররমা খানমকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এ ব্যপারে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: জামিরুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজে ভুল প্রশ্নে পরীক্ষার কথা জানতে পেরে আমি সেখানে গিয়েছি। পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে আজকের পরীক্ষা সঠিক ভাবে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার জন্য কর্তব্য অবহেলার জন্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাতে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।