শাহীন মাহমুদ রাসেল:
গত কয়েক দিন সর্বত্র ব্যাপকভাবে আলোচিত খরুলিয়ার মাস্টার পাড়ার প্রতিবন্ধী পরিবারের মা-মেয়েকে ‘মিথ্যা’ মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় শুভ উদ্যোগ নিয়েছেন কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসাইন। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছেন পুলিশের উর্ধ্বতন দল। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আদিবুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের দলটি আজ রোববার বিকাল ৩টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এসময় আরো ছিলেন সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি খাইরুজ্জামান।

পরিদর্শনকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আদিবুল ইসলাম ঘটনার বিস্তারিত খোঁজ নেন। ভুক্তভোগীসহ দু’পক্ষ প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলেছেন। জমি নিয়ে বিরোধের এই ঘটনার প্রশমনের জন্য আপাতত দু’পক্ষকে স্থিতিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়ে সমস্যাটি স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের মাধ্যমে মীমাংসা করার জন্য বলেন। এর মধ্যে ছুটি শেষেই প্রতিপক্ষকের সহযোগিতার মাধ্যমে ‘মিথ্যা’ মামলায় কারান্তরীণ প্রতিবন্ধী অসহায় পরিবারের মা ও মেয়েকে জামিন করানোরও নির্দেশ দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আদিবুল ইসলাম। এসময় ঝিলংজা ইউনিয়েনের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান ও সংবাদকর্মী ইমরুল কায়েস চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আদিবুল ইসলামের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন ভুক্তভোগীর দুই মেয়ে। তারা তাদের উপর জঘন্য অন্যায় হয়েছে দাবি করে ভুমিদস্যু শফিকুল ইসলামের শাস্তি দাবি করেন।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, খরুলিয়া মৌজার আর.এস. খতিয়ান নং-১২৪৪, আর.এস দাগ নং-৩১১১, দাগের ২৯ (ঊনত্রিশ) শতক জমিতে নিরবিচ্ছিন্নভাবে নিজেদের মালিকানাধিন বসতভিটা হিসেবে ভোগ-দখলক্রমে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে। কিন্তু দীর্ঘ ৩৯ বছর পর ওই এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু শফিকুল ইসলাম প্রকাশ শফিকুর রহমানের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে অসহায় এই পরিবারটির ভিটেবাড়ির উপর। জনশ্রুতি আছে-শফিক এলাকার একজন চিহ্নিত ভুমিদস্যু ও সন্ত্রাসী। তার নেতৃত্বে বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসী বাহিনী সহকারে নিরীহ বহু মানুষের ভিটে বাড়ি দখল করার ঘটনা ঘটেছে। আর প্রতিটি দখল প্রক্রিয়ার কৌশল হিসেবে প্রতিনিয়ত এলাকার নিরীহ মানুষদের বিরুদ্ধে নানা ঘটনা সাজিয়ে মিথ্যা মামলায় আসামী উল্লেখপূর্বক হয়রানী করা হয়। যার ধারাবাহিকতায় শফিক নতুন করে কু-নজর দেয় এই ভিটেবাড়ির উপর।