নিজস্ব প্রতিবেদক :
বসতভিটে রক্ষার দাবি নিয়ে ভূমিদস্যুর বিরুদ্ধে নেমেছিলেন প্রতিবন্ধী পরিবারটি। মামলা ঝুলতে থাকায় এখন বসতভিটে দূরের কথা, স্বাভাবিক জীবনের নিশ্চয়তাও তাঁরা পাচ্ছেন না। কক্সবাজার সদর উপজেলার খরুলিয়ায় জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে দেয়ায় দিশাহারা এক প্রতিবন্ধী পরিবার। ভিটেমাটি ছাড়া করার ঘৃন্য চক্রান্তে ও দাপট খাটিয়ে জিম্মী করে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানী করছে ভূমিদস্যু তার বাহিনী। এর ফলে নিরাপত্তাহীনতায় দিনাতিপাত করছেন পরিবারটি। ঝিলংজা ইউনিয়নের মাষ্টার পাড়া গ্রামে স্থানীয় একটি ভূমিদস্যু চক্র ওই অসহায় প্রতিবন্ধী পরিবারের আবাল, বৃদ্ধ, নারী সদস্যদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে পুলিশ দিয়ে দফায় দফায় বাড়ি-ঘরে হামলা, গ্রেপ্তার ও হয়রানির মাধ্যমে ঘরটি শূণ্য করে প্রতিবন্ধী নিরীহ পরিবারের জমি জবরদখলের তান্ডব চালিয়ে বৃহত্তর খরুলিয়ার আলাউদ্দিন (রাঃ) পবিত্র মাটিকে কলুষিত ও অপবিত্র করে খরুলিয়ায় আরেক নজির বিহীন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে স্থানীয় ভূমিদস্যু।

এই নিরীহ প্রতিবন্ধী পরিবারের মা-মেয়ে কারাগারে, বাকী দু’জন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। টাকার অভাবে মিথ্যা মারামারির মামলায় জামিন নিতে না পারায় বাড়িতে থাকতে পারছেন না। ভূমিদস্যুর হুমকি, নতুন করে মামলা দিয়ে পুলিশি হয়রানির ভয়ে তারা পরিবার ও এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, খরুলিয়া মৌজার আর.এস. খতিয়ান নং-১২৪৪, আর.এস দাগ নং-৩১১১, দাগের ২৯ (ঊনত্রিশ) শতক জমিতে নিরবিচ্ছিন্নভাবে নিজেদের মালিকানাধিন বসতভিটা হিসেবে ভোগ-দখলক্রমে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে। কিন্তু দীর্ঘ ৩৯ বছর পর ওই এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু শফিকুল ইসলাম প্রকাশ শফিকুর রহমানের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে অসহায় এই পরিবারটির ভিটেবাড়ির উপর। জনশ্রুতি আছে-শফিক এলাকার একজন চিহ্নিত ভুমিদস্যু ও সন্ত্রাসী। তার নেতৃত্বে বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসী বাহিনী সহকারে নিরীহ বহু মানুষের ভিটে বাড়ি দখল করার ঘটনা ঘটেছে। আর প্রতিটি দখল প্রক্রিয়ার কৌশল হিসেবে প্রতিনিয়ত এলাকার নিরীহ মানুষদের বিরুদ্ধে নানা ঘটনা সাজিয়ে মিথ্যা মামলায় আসামী উল্লেখপূর্বক হয়রানী করা হয়। যার ধারাবাহিকতায় শফিক নতুন করে কু-নজর দেয় এই ভিটেবাড়ির উপর।

ভুক্তভোগীরা বলেন, মামলার ভয়ে আমাদের বাড়ি-ঘর যখন শূণ্য হয়ে পড়ে ওই ভূমিদস্যুরা তখন আমাদের জমি জবর দখলের মহোৎসবে মেতে উঠে। বিষয়টি তখন কাগজপত্র নিয়ে বসার কথা বললে এসব আমলে না নিয়ে জোর পূর্বক জমিতে আসার কানাঘুষা শুনতে পেরে আমরা এ ব্যাপারে সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করি। পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালতে ১৪৪ ধারাসহ একাধিক মামলা থাকা সত্বেও বেপরোয়া হয়ে ওই ভূমিদস্যু জবর দখল চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ভূমিদস্যুর অব্যাহত হুমকি ও পুলিশি গ্রেপ্তার এড়াতে আমাদের পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ওই ভূমিদস্যুর কবল থেকে মুক্তি পেতে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

স্থানীয় সাধারণ মানুষ বলেন, শুনেছি কাকের মাংস কাকে খায়না। অথচ আমারা সবাই একই এলাকার হলেও আজ ভাল মানুষ পরিচয়ধারী ভূমিদস্যুরাই আমাদের জায়গা-জমি জবরদখল, হুমকি, হামলা, মিথ্যা মামলা ও পুলিশ দিয়ে হয়রানি করছে। এবিষয়ে অভিযুক্ত শফিকের সাথে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।