আবুল কালাম, চট্টগ্রাম: 
রোজা আসতে বাকী আর মাত্র ১৬ /১৭ দিন দরজায় কডা নাড়তেছে। এর আগে থেকে সবজির বাজার সহ সবই আগে থেকে  ঊর্ধ্বমুখী ভাব শুরু হয়েছে  মাছ, সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারে। কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে দামও। আর সাধারণ ক্রেতারা কর্তৃপক্ষের কাছে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করে ক্রয় ক্ষমতার আওতায়  আনার দাবী সাধারণ  ভোক্তা দের।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) নগরের কাজীর দেউড়ী, চকবাজার কাঁচাবাজার, নয়ার বাজার, সাগরিকা বিটাক বাজার, হালিশহর ফইল্ল্যতলী বজার  এসব বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। মাছ, সবজির দাম তুলনামূলক কম রয়েছে চকবাজার কাঁচাবাজারে।
কাজীর দেউড়ী বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ টাকা, রুই মাছ ৪০০ টাকা, কাতাল ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, চিংড়ি ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা, রুপচাঁদা মাছ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, নাইলেটিকা ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, দেশি মুরগি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা।
প্রতি কেজি বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়, পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকায়, ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, বেগুন ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি, কাঁচা মরিচ ৮০ টাকায়।
এদিকে হালিশহরের কাঁচা বাজার ও চকবাজার কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি রুই মাছ ২৮০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা, কাতাল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, চিংড়ি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, রুপচাঁদা মাছ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, নাইলেটিকা ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, দেশি মুরগি ৩৮০ থেকে ৪২০ টাকা।
ফইল্ল্যতলী  কাঁচাবাজারে বিক্রেতা লালু  বলেন, মাছ ও সবজির দাম কিছুদিন আগে বাড়লেও এখন স্থিতিশীল রয়েছে। পাইকারি বাজারে কিছু কিছু সবজির দাম প্রতি কেজিতে ২-৫ টাকা বেড়েছে। এ কারণে হয়তো বাজারে দাম বাড়তে পারে।
বিটাক  বাজারে আসা ক্রেতা এরশাদ জানান দাম কিছুটা বাড়ছে। রমজানের আগে হয়তো আরও বেড়ে যাবে। কর্তৃপক্ষের উচিত বাজার মনিটরিং করা। যদি বাজার ৃমনিটরিং থাকে কিছুটা হলেও সস্তীপাবে সাধারণ জন গন।