জসিম উদ্দিনঃ
কক্সবাজারে দুর্নীতি দমন কমিশনের গণশুনানিতে-দুদক কমিশনার (তদন্ত) এ এফ, এম আমিনুল ইসলাম বলেছেন, দেশের মালিক জনগণ। জনগণ সেবা বঞ্চিত হচ্ছে কেন? জনগণ সেবা পেলে কেন লাখ লাখ অভিযোগ?
তিনি বলেন, প্রতিদিন কেন আপনাদের লাখ লাখ অভিযোগ আমাদের কাছে আসছে? আমরা সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের মুখ থেকে শুনতে চাই, জনগণ সেবা পেলে কেন তাদের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ তুলছে? আর জনগন কেন সেবা পচ্ছেনা-সেটাও জনগণের মুখে শুনতে চাই।
এর সমাধান দরকার জানিয়ে তিনি দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের উদ্দ্যেশ করে বলেন, দুর্নীতি করে পার পেয়ে যাবেন, এমনটা ভাবার কোন কারন নেই। কঠোর শাস্তির মুখামুখি হতে হবে দুর্নীতিগ্রস্তদের।
‘জনতাই শক্তি রুখবে দুর্নীতি’-এ স্লোগানকে সামনে রেখে কক্সবাজারে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর গণশুনানী চলছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে রয়েছেন এ এফ, এম আমিনুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (১৮এপ্রিল) সকাল ১০টায় কক্সবাজার সদর উপজেলার এড.সাহাব উদ্দীন মিলনায়তনে গণশুনানী শুরু হয়। চলবে বেলা ১টা পর্যন্ত।
এতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত আছেন।
গণশুনানীতে কক্সবাজার সদর উপজেলা ভূমি অফিস, জরীপ অফিস, সাব রেজিস্টার অফিস, পল্লীবিদ্যুৎ অফিস, হিসাবরক্ষণ অফিস, পিআইও অফিস, সমবায় অফিস, সমাজসেবা অফিস, যুব উন্নয়ন অফিস, প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সহ আরো বেশ ক’টি সরকারি অফিসের কর্মকর্তারা গণশুনানীতে উপস্থিত রয়েছেন।
গণশুনানীর শুরুতে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা বঞ্চিত সেবা প্রার্থীদের অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠে অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণ।
সম্প্রতিক ভুল চিকিৎসা রোগীর মৃত্যু যথাযথ সমস্যা সামাধান না করে উল্টো ডাক্তাদের আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে উপস্থিত সেবা বঞ্চিতরা।
শুরুতে জয়নাল আবেদীন নামের এক সেবা বঞ্চিত অভিযোগ করেন, সদর হাসপাতেলে বেশ কয়েকবার গিয়েও তিনি চিকিৎসা পাননি। ডাক্তাররা তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে হাসপাতাল ত্যাগ করতে বাধ্য করেছেন।
আরেক অভিযোগকারী নাজিম উদ্দীন অভিযোগ বলেন, কথায় কথায় সদর হাসপাতালের ধর্মঘটের কারণে দুই সাপ্তহে ২০জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসাসেবা প্রার্থীদের ধরে মারধর করে জেলে পাঠিয়েছে ডাক্তাররা।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, রোগীর স্বজনদের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দেয়া হয়েছে। সদর হাসপাতালে খাবারের মানও খুবই নিম্ন মানের। দেখভালের কেউ যেন নেই।
উত্তর পর্বে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের  ডাঃ বিধান পাল সন্তোষজনক উত্তর দিতে না পারায় উপস্থিত সবার মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করে।