শেফাইল উদ্দিন,কক্সবাজার সদর :

সদর উপজেলার ইসলামপুরে বন কর্মিদের উপর হামলার ঘটনা মোটা অংকের টাকায় ও ভূরিভোজের বিনিময়ে ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে বিট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে । এ ঘটনায় রেন্জ ও বিট কর্মকর্তার পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে জানা যায়, কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের অধীন ফুলছড়ি বিটের আওতাভুক্ত ইসলামপুর ইউনিয়নের উত্তর পূর্ব জুমনগর বন এলাকায় ২০০৩/০৪ সনে বরাদ্দকৃত সামাজিক বনায়নের জায়গার উপর মাসাধিককাল ধরে বিশালাকারের দুইটি অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ শুরু করে উক্ত ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড উত্তর নাপিতখালীর বাসিন্দা মৃত আবদুল মজিদের ছেলে খুইল্লা মিয়া ও তার ছেলে জয়নাল। এ সংবাদ পেয়ে ফুলছড়ি রেন্জ কর্মকর্তা জাকরিয়া ও বিট কর্মকর্তা একরাম হোসেনের নেতৃত্বে বন কর্মীরা কিছুদিন পূর্বে বাঁধা দিতে যায় স্থাপনা নির্মাণে। এসময় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকারীরা বনকর্মীদের উপর হামলা করে। বিশেষ করে রেন্জ কর্মকর্তাকে মারধর ও চরম নাজেহালের শিকার হয় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। নিরাপত্তার কারণে দখলদারদের হামলারমুখে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে বন কর্মীরা।কিন্তু অসাধু বিট কর্মকর্তা একরাম সংঘটিত ঘটনায় মামলা না করে হচ্ছে হবে, এভাবে কালক্ষেপন শুরু করে। পরে হামলাকারীদের কাছ থেকে গোপনে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয় বিট কর্মকর্তা একরাম। এমনকি হামলার পরও নির্মাণ কাজ চালিয়ে যায় দখলদাররা। সর্বশেষ বিগত সপ্তাহে অবৈধ স্থাপনা নির্মান শেষে দখলদাররা ভূরিভোজের আয়োজন করে। বিট কর্মকর্তার জন্য তার অফিসে পাঠানো হয় খাবার। এভাবেই বিট কর্মকর্তা একরাম তার পদস্থ কর্মকর্তার উপর হামলার ঘটনা ধামাচাপা দেয় বলে অভিযানে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য বনকর্মীদের অভিযোগ ।
এদিকে উপরুক্ত বিষয়ে হামলার দুই দিন পর বিট কর্মকর্তা একরামের সাথে যোগাযোগ করা হলে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে জানান। অপরদিকে রেন্জ কর্মকর্তা জাকারিয়ার সাথে কথা হলে জানান,মামলা হয়নি। এর কিছুদিন পর ভূরিভোজ ও মামলার বিষয়ে পুনরায় জানতে চাইলে এ বিটকর্মকর্তা একরাম বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে মামলা এখনো হয়নি,প্রস্তুতি চলছে বলে জানান।

এদিকে এলাকাবাসী ও বন সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, এ বিট কর্মকর্তা যোগ দেয়ার পর থেকে আশংকাজনক হারে বনজসম্পদ অবৈধ দখলের উৎসব চলছে। রেন্জ কর্মকর্তা বিট কর্মকর্তার বেচমেট হওয়ায় রেন্জ কর্মকর্তার কোন নির্দেশ তোয়াক্কা করছেনা বলে অভিযোগ বিট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে । এমনকি বিভিন্ন স্থান থেকে রেন্জ কর্মকর্তার নাম ভাঙ্গিয়ে গোপনে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে বনজ সম্পদ লুটকারিদের উৎসাহিত করছে বলেও বিট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। এলাকাবাসী এ বিট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।