নুরুল কবির,বান্দরবান :
পুরনো সব জঞ্জাল ধুয়ে ফেলে নতুনকে স্বাগত জানাতে মারমা তরুণ-তরুণীরা জলকেলি উৎসবে মেতে উঠেছে। মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই উৎসবের মধ্যে জলকেলি উৎসব অন্যতম। মারমা সম্প্রদায়ের প্রধান সামাজিক উৎসব সাংগ্রাই। আর জলকেলি উৎসবের প্রধান অনুষঙ্গ। এ জলকেলিতে মাতোয়ারা থাকেন শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণীরা। সাংগ্রাই উৎসবের পানি খেলার মাধ্যমে পুরনো বছরের সকল দুঃখ-কষ্ট, গ্লানি ধুয়ে-মুছে নতুন বছরকে বরণ করে নেয় তারা।
গতকাল সোমবার বিকেলে স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী বোমাং রাজারমাঠে জলকেলি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেওয়া তরুণ-তরুণীদের গায়ে পানি ঢেলে জলকেলি উৎসবের উদ্ধোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈ সিং এমপি।
জলকেলি উৎসবে ছোট-বড় কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পানি খেলায় মেতে উঠেন মারমা তরুণ-তরুণীরা। পাশের গ্রাম বা পাড়াগুলো থেকেও শত শত পাহাড়ি তরুণ-তরুণী, নারী-পুরুষ এবং দেশি-বিদেশি পর্যটকরা ভিড় জমান জলকেলি উৎসবে।সাংগ্রাই উৎসবে পানি খেলা ছাড়াও পিঠা তৈরি, বুদ্ধমূর্তি স্নান, বৌদ্ধ বিহারে বিহারে ছোয়াইং দান, হাজার প্রদ্বীপ প্রজ্জ্বলন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালিত হচ্ছে। মঙ্গলবারও জলকেলি উৎসবে মেতে উঠবে মারমা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীসহ চাকমা, তঞ্চঙ্গ্যা, ম্রো, চাক সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণী, নর-নারীরা।
গতকাল সোমবার জলকেলি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,বান্দরবান সেনা রিজিয়ন কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল খন্দকার মো: শাহিদুল এমরান জেলা পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: আবুল কালাম , জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও পৗরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী ও নব-নিবাচিত সদর উপজেলার চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীরসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।