শফিক আজাদ,উখিয়া :

উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী বনবিটের মুছারখোলা টহল ফাঁড়ির আওতাধীন চৌখালী নামক স্থানে প্রায় দেড়’শ হেক্টর বনভূমিতে নবনির্মিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধের বৃহস্পতিবার নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক। কিন্তু এরপরও ব্রাক এনজিও সংস্থা তাদের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ২টি বোল্ডডোজার দিয়ে মাটি কাটার কাজ অব্যাহত রেখেছিল। কিন্তু শুক্রবার পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী নেতৃত্বে স্থানীয় শতশত এলাকাবাসি উক্ত স্থান পরিদর্শন করে। এসময় এলাকাবাসির সহযোগিতায় ২টি বোল্ডডোজার জব্দ করে বনবিভাগের কাছে জমা দেন।

জানা গেছে, উখিয়া-টেকনাফে ৩২টি ছোট ক্যাম্প থাকার পরও উখিয়ার চৌখালীতে নতুন করে আরো একটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প স্থাপনের কার্যক্রম শুরু করেছিল আরআরআরসি। এনজিও সংস্থা ব্রাক ইতিমধ্যে সেখানে বোল্ডডোজার দিয়ে বেশ কয়েকটি পাহাড় কেটে মাঠে পরিনত করে। এ নিয়ে গ্রামবাসি শত প্রতিবাদ করার পরও কোন কাজ না হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েন। স্থানীয় চেয়ারম্যানের প্রচেষ্ঠায় সরজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করারপর টনক নড়ে জেলা প্রশাসনের।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জারীকৃত পত্রে উল্লেখ রয়েছে নতুন করে রোহিঙ্গাদের জন্য কোন প্রকার স্থাপনা নির্মাণ করা যাবেনা। এই নিষেধাজ্ঞা তোয়াক্কা না করে বেশ কয়েক দিন ধরে পালংখালী ইউনিয়নের চৌখালী মাঠ নামক স্থানে ৪/৫টি বোল্ডডোজার দিয়ে নির্বিচারে স্থানীয় জন-সাধারণের সামাজিক অংশীদারিত্ব সবুজ বনায়ন নিধন করে পাহাড় কাটছিল কয়েকটি স্বার্থন্বেষী এনজিও সংস্থা। পত্র-পত্রিকার লেখালেখির কারনে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু এরপরও বোল্ডডোজার দিয়ে এনজিও সংস্থা ব্রাক কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। শুক্রবার সরজমিন পরিদর্শন করে স্থানীয় গ্রামবাসির সহযোগিতায় ঘটনাস্থল থেকে ২টি বোল্ডডোজার জব্ধ করে বনবিভাগের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। তিনি এসময় আরো বলেন, চৌখালীতে ক্যাম্প নির্মাণ পরবর্তীতে আবার শুরু করা হলে তিনি মহামান্য হাইকোর্টের নিকট দ্বারস্থ হবেন বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামান চৌধুরী মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে জানান, জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে চৌখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।