প্রথমআলো: আজ বিসিবি একাডেমি মাঠে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের অনুশীলন শেষে কিছুটা চিন্তিত দেখাল মুমিনুল হককে। রূপগঞ্জ এবার প্রিমিয়ার লিগে দুর্দান্ত খেলছে, পয়েন্ট তালিকায় আছে সবার ওপরে। মুমিনুল নিজেও ছন্দে আছেন। ৮ ম্যাচে ৫৪.১৬ গড়ে করেছেন ৩২৫ রান। তাহলে চিন্তাটা কী নিয়ে? তাঁর চিন্তা ১৯ এপ্রিল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে প্রাইম দোলশ্বরের বিপক্ষে ম্যাচটা নিয়ে।

আগেই আকদ সেরে ফেলা মুমিনুল বিয়ের আনুষ্ঠানিক সারছেন ১৯ এপ্রিল, সেটি তিনি আগেই জানিয়েছেন। কনে ফারিহা বাশারের বাসা মিরপুর ডিওএইচএসে। তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী। দুজনের বিয়ের অনুষ্ঠান মিরপুরের পিএসসি কনভেনশন হলে। এরই মধ্যে বিয়ের নিমন্ত্রণপত্র বিলি হয়ে গেছে। সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ দিকে। এখন শুধু সানাইয়ের সুর বেজে ওঠার অপেক্ষায়। কিন্তু ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম) এমনই বেরসিক, সুপার লিগের তৃতীয় পর্বে রূপগঞ্জের ম্যাচটা পড়েছে ঠিক ১৯ এপ্রিল।

ফিট আছেন অথচ মুমিনুল ম্যাচ খেলেননি, এমন উদাহরণ কমই আছে। সুপার লিগের এ গুরুত্বপূর্ণ পর্বে রূপগঞ্জের কোনো ম্যাচও তিনি হাতছাড়া করতে চান না। সিসিডিএমকে তিনি তাই ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধ করেছিলেন ১৯ এপ্রিল অন্তত রূপগঞ্জের ম্যাচ না দিতে। সিসিডিএম সে অনুরোধ রাখলে তো! সিসিডিএমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তৌহিদ মাহমুদ অবশ্য রসিকতার সুরেই বললেন, ‘একটা দলে খেলোয়াড় আছে ১৮ জন। এখন একজনের সমস্যা দেখে কি ম্যাচের সূচি বদলানো যায়? আমি তো এতে কোনো সমস্যা দেখছি না, ম্যাচ শেষ করে আমরা সবাই মুমিনুলের বিয়ে খেয়ে আসব।’

বিয়ের সব ঠিকঠাক, তারিখ পেছানোর উপায় নেই। ১৯ এপ্রিল প্রাইম দোলশ্বরের বিপক্ষে ম্যাচটা তাই বাদ দিতে বাধ্য হচ্ছেন মুমিনুল। তাঁর সতীর্থ, কোচ সবাই আসবেন ম্যাচ খেলেই। জাতীয় দলের ক্রিকেটার যাঁরা ঢাকায় আছেন, সবারই আসার কথা মুমিনুলের বিয়েতে।